বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শাখা আজ এক সংবাদ সম্মেলনে সদর হাসপাতালের চিকিৎসা সেবার ব্যাপক অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ধরে ৮ দফা দাবি পেশ করেছে। তারা বলেন, গত ৩০ এপ্রিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনাকালে ইচ্ছাকৃত উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি করা হয়।
শনিবার (০৪ মে) সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শাখার নেতারা জানান, ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট এই হাসপাতালে দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসকদের অনুপস্থিতি, অপ্রয়োজনীয় রেফার্ড, ঔষধ দালালি ও বকশিশের মতো অনিয়ম চলছে। গত বুধবার হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ও আরএমওর সঙ্গে আলোচনায় গেলে কর্তৃপক্ষ প্রথমে অভিযোগ অস্বীকার করেন, কিন্তু পরে প্রমাণ দেখে স্বীকার করতে বাধ্য হন।
তাদের উত্থাপিত ৮ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে
১. চিকিৎসকদের নিয়মিত উপস্থিতি নিশ্চিত করে ব্যক্তিগত ক্লিনিকে যাওয়ার সুযোগ বন্ধ করা।
২. পরীক্ষার সময়সূচি (আলট্রাসনোগ্রাম, এক্স-রে) প্রকাশ ও বাস্তবায়ন করা।
৩. অপ্রয়োজনীয় রেফার ও প্রাইভেট ক্লিনিকে পরীক্ষার জন্য চাপ দেওয়া বন্ধ করা।
৪. রাউন্ড ও ওয়ার্ড ভিজিট বাধ্যতামূলক করা।
৫. ঔষধ দালাল চক্র দমন করা।
৬. শিশু ওয়ার্ডে প্রশিক্ষিত নার্স নিযুক্ত করা।
৭. দুর্নীতির অভিযোগে তদন্ত ও শাস্তি নিশ্চিত করা।
৮. গাইনি ওয়ার্ডে জোরপূর্বক বকশিশ (১,৫০০-২,০০০ টাকা) নেওয়া বন্ধ করা।
সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনকারীরা বলেন, "৩৬ জুলাইয়ের এক বছর পূর্তির মাত্র ৯৩ দিন আগেও চাঁপাইনবাবগঞ্জবাসী কেন প্রাথমিক চিকিৎসার অধিকার থেকে বঞ্চিত হবেন? আমরা শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাব।"
তারা হাসপাতালের সিন্ডিকেট ভেঙে দুর্নীতি বন্ধের দাবি জানিয়ে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন জোরদার করার ঘোষণা দেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শাখার আহবায়ক আব্দুর রাহিম, সদস্য সচিব সাব্বির আহমেদ, মুখ্য সংগঠক মুত্তাসিম বিশ্বাস, যুগ্ম আহবায়ক আকিব মিয়া ও মাহিন খান, যুগ্ম সদস্য সচিব আহমেদ ইমতিয়াজ পারভেজ প্রমুখ।
পরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আকিব মিয়া বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ অসত্য। কেউ প্রমাণসহ অভিযোগ করলে আমরা তা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব।
আলোকিত গৌড়/এম.আর
মন্তব্য করুন: