[email protected] শুক্রবার, ৯ মে ২০২৫
২৫ বৈশাখ ১৪৩২

গত ২৪ ঘন্টায় সারাদেশে বজ্রপাতে সাত জেলায় ১২ জনের মৃত্যু

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৪:৩৫

ছবিঃ প্রতীকি ছবি/ আলোকিত গৌড়

সোমবার (২৮ এপ্রিল) দেশের সাতটি জেলায় বজ্রপাতে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১২ জন। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন কৃষক, শিক্ষার্থী, গৃহবধূ এবং সাধারণ গ্রামবাসী। বজ্রপাতের এসব মর্মান্তিক ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে বিভিন্ন এলাকাজুড়ে।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) দেশের সাতটি জেলায় বজ্রপাতে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১২ জন। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন কৃষক, শিক্ষার্থী, গৃহবধূ এবং সাধারণ গ্রামবাসী। বজ্রপাতের এসব মর্মান্তিক ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে বিভিন্ন এলাকাজুড়ে।

ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলায় বজ্রপাতে আসমা আক্তার (২৫) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার দপদপিয়া ইউনিয়নের উত্তর জুরকাঠি গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত আসমা স্থানীয় ট্রাকচালক মো. রুবেল মাঝীর স্ত্রী। তিনি রেখে গেছেন ছয় বছর বয়সী এক কন্যা সন্তান এবং মাত্র ১৫ দিনের এক নবজাতক। ব্যক্তিগত কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে হঠাৎ বজ্রপাতের শিকার হন আসমা। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
একই দিনে কুমিল্লার বরুড়া ও মুরাদনগর উপজেলায় বজ্রপাতে মৃত্যু হয়েছে চারজনের। বরুড়ায় ঘুড়ি ওড়াতে গিয়ে দুই স্কুলছাত্র ফাহাদ হোসেন (১৩) ও সায়মন হোসেন বজ্রপাতের শিকার হয়। মুরাদনগরে ধান কাটার সময় মারা যান কৃষক জুয়েল ভূঁইয়া (৩৫) ও নিখিল দেবনাথ (৬০)।

কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম ও মিঠামইন উপজেলায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। অষ্টগ্রামে ধান কাটতে গিয়ে ইন্দ্রজিত দাস (৩৫) ও স্বাধীন মিয়া (১৪) বজ্রপাতে প্রাণ হারান। মিঠামইনে নিজের খলায় ধান ঢাকতে গিয়ে মারা যান ফুলেছা বেগম (৬৫)।

নেত্রকোণার মদনে বজ্রপাতে মারা গেছে ১০ বছর বয়সী মাদ্রাসা ছাত্র আরাফাত মিয়া। সে নিজ বাড়ির সামনে বজ্রপাতে আক্রান্ত হয়।
সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার বুড়িগাঙ্গাল হাওরে গরু চরাতে গিয়ে বজ্রপাতে মারা যান কলেজছাত্র রিমন তালুকদার (২২)। একই সঙ্গে বজ্রপাতে তার সঙ্গে থাকা গবাদিপশুগুলোরও মৃত্যু হয়েছে।

চাঁদপুরের কচুয়ায় বজ্রপাতের শব্দে আতঙ্কিত হয়ে হার্ট অ্যাটাকে মারা যান বিশকা রানী সরকার (৪৫)। স্থানীয় প্রশাসন ও চিকিৎসকদের ভাষ্য অনুযায়ী, বজ্রপাতের সরাসরি আঘাতের চিহ্ন না থাকায় এ মৃত্যুকে স্বাভাবিক বলা হয়েছে।

খুলনার রূপসা উপজেলায় ওয়াজ মাহফিলের মাইক ঝুলানোর সময় বজ্রপাতে নিহত হন আরিফুল ইসলাম (২৯)। বৃষ্টির মধ্যে গাছের ওপর কাজ করার সময় বজ্রপাতের কবলে পড়েন তিনি।

শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলায় গরুর জন্য ঘাস আনতে গিয়ে বজ্রপাতে মারা যান শেফালী বেগম (৩৫)।

সংশ্লিষ্ট থানাগুলোর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা বজ্রপাতে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী নিহতদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হবে। পাশাপাশি জনসচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে বজ্রপাতের সময় নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার পরামর্শও দেওয়া হচ্ছে।

আলোকিত গৌড়/এম.আর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর