রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত সিরাজগঞ্জ জেলার শিক্ষার্থীদের সংগঠন "সিরাজগঞ্জ জেলা সমিতি" কর্তৃক আয়োজিত এক বিশেষ অনুষ্ঠানে ফলচক্র ও শপথ পাঠ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
"স্বপ্নে খুঁজি, স্বপ্নে বাঁচি, হৃদয়ে সিরাজগঞ্জ – আমরা আপনজন!" এই স্লোগানকে সামনে রেখে , শুক্রবার(১৮ জুলাই)বিকাল ৪টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন’স কমপ্লেক্সে উৎসব পালিত হয়।অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিরাজগঞ্জ জেলা সমিতির সভাপতি মো. আব্দুল বারিক। সমিতির নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির শপথ পাঠ ও সদস্যদের মাঝে ফল বিতরণ অনুষ্ঠানটি প্রাণবন্ত করে তোলে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জিওলোজি ও মাইনিং বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ইউনুস আহমেদ খান।তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য বলেন, তোমরা আজ যে স্বপ্ন দেখছো, আগামীকাল তা-ই বাস্তবে রূপ নেবে—যদি তুমি আজ থেকেই প্রস্তুতি শুরু করো। বিশ্ববিদ্যালয় জীবন শুধু পাঠ্যবইয়ের জ্ঞান অর্জনের জায়গা নয়, এটি নিজেকে গড়ার শ্রেষ্ঠ সময়। সময়কে সঠিকভাবে ব্যবহার করো, নিজের দক্ষতা বাড়াও এবং সব সময় মানবিক গুণাবলিকে প্রাধান্য দাও। মনে রাখবে, ভালো মানুষ হওয়াটাই তোমার সবচেয়ে বড় অর্জন।”
এছাড়াও বিশেষ অতিথি উপস্থিত ছিলেন রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড.মোহাম্মদ ফরহাদুল ইসলাম। তিনি বলেন,তোমরা সৎ থাকবে, দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ থাকবে এবং নিজেদের জ্ঞানের আলো দিয়ে সমাজকে আলোকিত করবে—এই আমার প্রত্যাশা।স্মরণ রাখবে, আজকের বীজ রোপণই একদিন একটি মহীরুহ হবে, যে ছায়ায় বিশ্রাম নেবে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম।
জেলা সমিতির সভাপতি মোঃ আব্দুল বারিক বলেন,সিরাজগঞ্জ জেলা সমিতি আমার কাছে শুধুমাত্র একটি সংগঠন নয়, বরং এটি একটি পরিবার। আমি চাই এই পরিবারে যেন কোনো প্রকার রাজনৈতিক বিভাজন না থাকে। আসুন, আমরা সকল ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে এই জেলা সমিতিকে এগিয়ে নিয়ে যাই।”
তিনি আরও বলেন,রাবিতে অধ্যয়নরত সিরাজগঞ্জের এমন অনেক শিক্ষার্থী রয়েছেন, যারা আর্থিক সংকটে ভুগছেন এবং সঠিকভাবে লেখাপড়া চালিয়ে যেতে পারছেন না। আমরা তাদের জন্য উপবৃত্তি প্রদানের একটি ব্যবস্থা গ্রহণ করবো, যাতে তারা নিরবচ্ছিন্নভাবে তাদের শিক্ষাজীবন চালিয়ে যেতে পারেন। পাশাপাশি, সিরাজগঞ্জ জেলা সমিতির সাবেক শিক্ষার্থীদের নিয়ে একটি শক্তিশালী অ্যালামনাই (প্রাক্তন শিক্ষার্থী সংগঠন) গঠন করার পরিকল্পনাও আমাদের রয়েছে।”
অনুষ্ঠানের আয়োজকগণ বলেন, এ ধরনের আয়োজন শিক্ষার্থীদের মধ্যে বন্ধন দৃঢ় করতে সহায়ক এবং পারস্পরিক সহানুভূতির মাধ্যমে সবাই যেন একে অপরের পাশে থাকতে পারে, সে উদ্দেশ্যেই এই আয়োজন।
প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন এবং অনুষ্টানের শেষে সংগঠনের পক্ষ থেকে সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয় এবং আগামীতে আরও বৃহৎ পরিসরে এমন আয়োজনের প্রত্যাশা জানানো হয়।
আলোকিত গৌড়/এম.আর
মন্তব্য করুন: