ঢাবিতে গভীর রাতে ‘জুলাই গ্রাফিতি’ মুছল ছাত্র ইউনিয়ন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দেয়ালে আঁকা জুলাই গ্রাফিতি মুছে ফেলার অভিযোগ উঠেছে ছাত্র ইউনিয়নের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয় সংগঠনটির নেতাকর্মীদের। এটিকে কেন্দ্র করে ঢাবি ক্যাম্পাসে সাময়িক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) দিবাগত রাত ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনের মূল ফটকের সামনের বিপরীত পাশের রাস্তার দেয়ালের গ্রাফিতি মুছে ফেলেন ছাত্র ইউনিয়নের কর্মীরা। পরে শিক্ষার্থীরা এসে বাঁধা দেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দেয়ালের দুইটি গ্রাফিতি মুছে দলীয় শ্লোগান লিখতে চেয়েছিল ছাত্র ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা ৷ গ্রাফিতি দু’টির একটি ‘চির উন্নত মম শির’ লেখা সম্বলিত এবং অন্যটি ছিল ‘পুকি ন্যাশন’ নামের।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ রাতের আঁধারে জুলাই স্মৃতিকে মুছে ফেলতে চেয়েছিল ছাত্র ইউনিয়ন। বিষয়টি অত্যান্ত দুঃখজনক। তাদের এ বিষয়ে ক্ষমা চাওয়া দরকার।

এ বিষয়ে জানতে ঢাবি ছাত্র ইউনিয়নের একাংশের সভাপতি মেঘমল্লার বসুর ব্যবহৃত মুঠোফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

এদিকে ঢাবি ক্যাম্পাসের দেয়াল থেকে জুলাই গ্রাফিতি মুছে দেওয়ার পর ছাত্র ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা গেছে, জুলাই গ্রাফিতি মুছে ফেলার কারণ জানতে চান সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

এ সময় ছাত্র ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা বলেন, এসব গ্রাফিতির বেশিরভাগই ৫ আগষ্টের পরবর্তীতে আঁকা হয়েছে।

৫ আগস্টের পরের গ্রাফিতি কখনোই জুলাই গ্রাফিতি হতে পারে না। জুলাইয়ে বেশিরভাগ গ্রাফিতিই ছিল দেয়াল লিখন।

তখন শুধু এসব লিখেই পালিয়ে যেতে হয়েছিল। উল্টো জুলাইয়ে সব দেয়াল লিখন মুছে ৫ আগস্টের পরে এসব গ্রাফিতি আঁকে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা। তাই এসব গ্রাফিতিকে জুলাইয়ের স্মৃতি বিজড়িত বা জুলাই গ্রাফিতি বলার মাধ্যমে জুলাইয়ে মাহাত্ম্য নষ্ট হয়।