[email protected] শুক্রবার, ৯ মে ২০২৫
২৫ বৈশাখ ১৪৩২

১১তম গ্রেডের দাবিতে কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন সরকারি প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকরা

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ৪ মে ২০২৫, ২২:২১

ফাইল ছবি

১১তম গ্রেডে বেতন নির্ধারণসহ তিন দফা দাবিতে সারা দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা সোমবার (৫ মে) থেকে টানা কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন। এ কর্মসূচির ডাক দিয়েছে প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদ।

প্রাথমিকভাবে ১৫ মে পর্যন্ত প্রতিদিন এক ঘণ্টা করে কর্মবিরতি পালন করা হবে। এরপর ধাপে ধাপে কর্মসূচি আরও কঠোর করা হবে বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির নেতারা।

গত ২৪ এপ্রিল পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ৪ মে’র মধ্যে সরকার দাবি না মানলে ৫ মে থেকে কর্মবিরতিতে যাবেন সহকারী শিক্ষকরা। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কোনো সাড়া না পাওয়ায় সোমবার থেকেই কর্মবিরতি শুরু হচ্ছে।

ঐক্য পরিষদের নেতা মোহাম্মদ শামছুদ্দীন মাসুদ জাগো নিউজকে বলেন, “সরকার আমাদের দাবি মেনে নেয়নি, কোনো আলোচনাও হয়নি। বাধ্য হয়ে আমরা কর্মবিরতিতে যাচ্ছি।”

তিনি আরও বলেন, “স্কুলের সময়সূচি একেক জায়গায় একেক রকম। তাই আমরা নির্দেশ দিয়েছি, যেসব স্কুল যত সকালে খুলবে, সেখানেই দিনের শুরুতেই এক ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করতে হবে।”

কর্মসূচির সময়সূচি:
৫–১৫ মে: প্রতিদিন এক ঘণ্টা কর্মবিরতি

১৬–২০ মে: প্রতিদিন দুই ঘণ্টা কর্মবিরতি

২১–২৫ মে: প্রতিদিন অর্ধদিবস কর্মবিরতি

২৬ মে থেকে: পূর্ণদিবস কর্মবিরতি (দাবি পূরণ না হলে)

তিন দফা দাবি
১. কনসালটেশন কমিটির সুপারিশের যৌক্তিক সংস্কার করে সহকারী শিক্ষক পদকে ১১তম গ্রেডে উন্নীত করা।
২. ১০ ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড পাওয়ার জটিলতা নিরসন।
৩. প্রধান শিক্ষক পদে শতভাগ পদোন্নতি ও দ্রুত পদোন্নতি প্রদান।

বর্তমানে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের গ্রেড ১৩তম, যেখানে প্রধান শিক্ষকদের গ্রেড ১১তম। কনসালটেশন কমিটি সহকারী শিক্ষকদের জন্য ১২তম গ্রেড প্রস্তাব করলেও ঐক্য পরিষদ তা প্রত্যাখ্যান করে ১১তম গ্রেড দাবি করছে।

দশম গ্রেড দাবিদারদের সমর্থন
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক দশম গ্রেড বাস্তবায়ন সমন্বয় পরিষদও এ কর্মসূচিকে মৌন সমর্থন জানিয়েছে। সংগঠনটির সমন্বয়ক মু. মাহবুবর রহমান বলেন, “ভেদাভেদ ভুলে আমরা কর্মসূচিকে সমর্থন দিয়েছি। আশা করি, সবাই একযোগে আন্দোলনে অংশ নিলে দশম গ্রেডের দাবিও বাস্তবায়ন হবে।”

শিক্ষকের সংখ্যা ও বাস্তবতা
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের তথ্য মতে, বর্তমানে দেশে ৬৫ হাজারের বেশি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী ও প্রধান মিলে প্রায় ৪ লাখ শিক্ষক কর্মরত। এর মধ্যে প্রধান শিক্ষকদের বেতন গ্রেড ১১তম, আর সহকারী শিক্ষকরা পাচ্ছেন ১৩তম গ্রেড।

 

আলোকিত গৌড়/আ

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর