ফিলিস্তিনের ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের অবস্থান সম্পর্কে জোরালো মন্তব্য করেছেন ব্রিটিশ বিশ্লেষক ডেভিড হার্স্ট। তিনি বলেন, “হামাস কখনো ইসরাইলের কাছে আত্মসমর্পণ করবে না।” তার মতে, হামাসের আত্মসমর্পণ মানেই ফিলিস্তিনি ইস্যুকে বিসর্জন দেওয়া।
হার্স্ট, যিনি মিডল ইস্ট আই ওয়েবসাইটের সম্পাদক, বলেন, ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু হামাসের প্রকৃত চরিত্র ও মনোবল এখনো পুরোপুরি বুঝতে পারেননি। তিনি অভিযোগ করেন, নেতানিয়াহু পূর্বে হামাসের সঙ্গে দুটি সমঝোতায় পৌঁছেও পরে একতরফাভাবে চুক্তি লঙ্ঘন করেন।
সম্প্রতি হামাসের শীর্ষ নেতা মাহমুদ মারদাভি স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, গাজার প্রতিরোধ শক্তিগুলোকে নিরস্ত্রীকরণের দাবি “সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য” এবং “আলোচনার বিষয় নয়”। তিনি একে “পুরানো ইহুদি-মার্কিন ষড়যন্ত্র” হিসেবে অভিহিত করেন।
ইরানি বিশেষজ্ঞ আলিরেজা আরব বলেন, “পশ্চিম এশিয়ার সব প্রতিরোধ ফ্রন্ট এখন ইসরাইলের বিরুদ্ধে সবচেয়ে স্পর্শকাতর পর্যায়ে রয়েছে। হামাস আত্মসমর্পণ বা নিরস্ত্রীকরণে প্রস্তুত নয়, বরং তারা আরও দৃঢ় হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।”
ফিলিস্তিনি রাজনৈতিক বিশ্লেষক মুহাম্মদ আল-কিক হামাসকে নিরস্ত্র করার প্রচেষ্টাকে “ব্যর্থ প্রচেষ্টা” বলে বর্ণনা করেন।
এদিকে, ইসরাইলি সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার সাবেক কর্মকর্তা মাইকেল মিলস্টেইন হামাস যোদ্ধাদের অবস্থান বিশ্লেষণ করতে গিয়ে বলেন, “তাদের ধর্মীয় বিশ্বাসই তাদের সংগ্রামে অটল রাখছে। এটাই তাদের মনোবলের মূল উৎস।”
ডেভিড হার্স্ট মন্তব্য করেন, “১৮ মাসের যুদ্ধ, দুই মাসের দুর্ভিক্ষ ও অবরোধ সত্ত্বেও হামাস এখনো প্রতিরোধ চালিয়ে যাচ্ছে — এটাই প্রমাণ করে যে তারা আত্মসমর্পণের পথে হাঁটছে না।”
আলোকিত গৌড়/আ
মন্তব্য করুন: