নারীর অধিকার, রাজনৈতিক মামলা ও আন্তর্জাতিক ইস্যুতে অবস্থান জানিয়ে আগামী ২৩ মে দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ।
শনিবার (৩ মে) রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত এক মহাসমাবেশে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন দলটির শীর্ষস্থানীয় নেতারা।
মহাসমাবেশে বক্তারা জানান, নারীর ‘ন্যায্য অধিকার’ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আগামী তিন মাসের মধ্যে বিভাগীয় পর্যায়ে সম্মেলনের আয়োজন করবে হেফাজতে ইসলাম। একইসঙ্গে বক্তারা দাবি করেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে মানবিক করিডোর দেওয়ার চিন্তা একটি আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত হবে, যা দেশের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তার জন্য হুমকি তৈরি করতে পারে।
সমাবেশে আরও বলা হয়, হেফাজতের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া রাজনৈতিক মামলাগুলো এখনই প্রত্যাহার না করলে, পরবর্তী সরকার ক্ষমতায় এসে সেগুলোকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে পারে। বক্তারা শাপলা চত্বরের ঘটনাকে ‘গণহত্যা’ হিসেবে উল্লেখ করে এর বিচার দাবি করেন।
হেফাজতের মহাসমাবেশটি শনিবার সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়। তবে ফজরের নামাজের পর থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নেতাকর্মীরা দলে দলে সমাবেশস্থলে আসতে থাকেন। সকাল ৭টার আগেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যান প্রায় পূর্ণ হয়ে যায়। ঢাকা ও চট্টগ্রামের পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকেও বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী সমাবেশে অংশ নেন।
মহাসমাবেশে সংগঠনটি চার দফা দাবি উত্থাপন করে। এর মধ্যে রয়েছে নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন ও এর প্রতিবেদন বাতিল, সংবিধানে বহুত্ববাদ বাতিল করে আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস পুনর্বহাল, হেফাজতের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া সব মামলা প্রত্যাহার ও শাপলা চত্বরের কথিত হত্যাকাণ্ডসহ সব গণহত্যার বিচার এবং ফিলিস্তিন ও ভারতে মুসলমানদের ওপর ‘নিপীড়ন’ বন্ধে সরকারের কার্যকর ভূমিকা রাখা।
সমাবেশে হেফাজতের শীর্ষ নেতারা ছাড়াও বিভিন্ন ধর্মভিত্তিক সংগঠনের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা দাবি করেন, এসব ইস্যুতে অবিলম্বে সরকারকে স্পষ্ট অবস্থান নিতে হবে, অন্যথায় আন্দোলন আরও তীব্র করা হবে।
আলোকিত গৌড়/আ
মন্তব্য করুন: