কক্সবাজারের পেকুয়ায় বনবিভাগের অভিযান চলাকালে অবৈধ বালি উত্তোলনের কাজে ব্যবহৃত চারটি মেশিন ও সরঞ্জাম জব্দ করা হয়েছে।
৩০ এপ্রিল বিকেল ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম দক্ষিণ বনবিভাগের বারবাকিয়া রেঞ্জ ও পেকুয়া থানার যৌথ অভিযানে এ অভিযান পরিচালিত হয়।
অভিযানকালে বারবাকিয়া ও টইটং সীমান্ত এলাকায় ছরার পাদদেশে কৃত্রিমভাবে পাহাড় কাটার মাধ্যমে প্রক্রিয়াজাত করা মাটি বালিতে রূপান্তর করে উত্তোলনের সময় চৌকিদার পাড়ার অংশ থেকে শফিউল আলম ও বাদশার মালিকানাধীন মেশিনসহ সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় চারটি পৃথক মামলা করা হয়েছে।
বারবাকিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা খালেকুজ্জামান বলেন, “পাহাড় খেকোদের কোনো ছাড় নেই। যত অপপ্রচারই হোক, অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।” তিনি আরও জানান, কিছু অসাধু ব্যক্তি ও কথিত সাংবাদিকের সিন্ডিকেট সুবিধা না পেয়ে এখন মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছে।
পরিবেশবাদী সংগঠন ‘ধরিত্রী’-এর পেকুয়া উপজেলা সমন্বয়কারী দেলোয়ার হোসাইন বলেন, “বিগত ৩-৪ বছর ধরে পাহাড়কাটা ও বালি পাচারে বনবিভাগের কিছু কর্মকর্তা জড়িত থাকলেও বর্তমানে রেঞ্জ কর্মকর্তার কড়াকড়িতে সিন্ডিকেট অস্বস্তিতে পড়েছে।”
কক্সবাজার জেলা বাপার সাধারণ সম্পাদক কলিম উল্লাহ বলেন, “রেঞ্জ কর্মকর্তা খালেকুজ্জামান ঘুষ নিলে মেশিন জব্দ করতেন না বা মামলা দিতেন না। বরং তিনি আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিচ্ছেন, সেটাই প্রকৃত সত্য।”
পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ মইনুল হোসেন চৌধুরী জানান, “রেঞ্জ কর্মকর্তাকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ করেছিলাম, তিনি অভিযান পরিচালনা করেছেন। এখন একটি চক্র বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে, তবে পাহাড় রক্ষায় কোনো ছাড় দেয়া হবে না।”
সুশীল সমাজের সদস্যরা মনে করছেন, পাহাড় রক্ষা ও বনভূমি সংরক্ষণের এই উদ্যোগকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে যে সিন্ডিকেট অপপ্রচারে নেমেছে, তাদের বিরুদ্ধে সামাজিক ও প্রশাসনিকভাবে প্রতিরোধ গড়ে তোলা জরুরি।
আলোকিত গৌড়/এম.আর
মন্তব্য করুন: