ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষা গবেষণা ইনস্টিটিউটের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী ও স্যার এ এফ রহমান হল ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক শাহরিয়ার আলম সাম্য-কে সন্ত্রাসী হামলার মাধ্যমে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে-এ ঘটনায় ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইউট্যাব) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা গভীর শোক ও নিন্দা এবং ৪ দফা দাবি জানানো হয়।
বুধবার (১৪ মে) ইউট্যাব রাবি শাখার সভাপতি অধ্যাপক মামুনুর রশীদ ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাহাঙ্গীর হোসেন বাবু সাক্ষরিত লিখিত বিবৃতিতে তীব্র নিন্দা জানানো হয়।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, একজন উদীয়মান তরুণ নেতা হিসেবে সাম্য মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, ন্যায়বিচার ও গণতন্ত্রের পক্ষে সোচ্চার ছিলেন। তার এই নির্মম হত্যাকাণ্ড কেবল একটি জীবনকে নয়, বরং শিক্ষাঙ্গনে মুক্তচিন্তা ও নিরাপদ পরিবেশকে হত্যা করেছে। ইউট্যাব রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা মনে করে, এই ঘটনা বিচ্ছিন্ন নয় বরং দীর্ঘদিন ধরে চলমান সহিংস ও দমনমূলক রাজনীতির একটি ভয়ানক প্রতিফলন। শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাস, দলীয় দখলদারিত্ব ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর হুমকি কখনোই গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
ইউট্যাব'র ৪ দফা দাবিগুলো হলো
১. ছাত্রনেতা সাম্য হত্যার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
২. বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কার্যকর ও টেকসই ব্যবস্থা নিতে হবে।
৩. শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাস ও সহিংস রাজনীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়ন করতে হবে।
৪. স্বাধীন মতপ্রকাশ ও গণতান্ত্রিক চর্চা বজায় রাখতে শিক্ষাঙ্গনে সকল পক্ষকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। ইউট্যাব আরো বলেন, ইউট্যাব বিশ্বাস করে সাম্যর এই আত্মত্যাগ আমাদের সকলের দায়বোধকে জাগ্রত করবে এবং শিক্ষাঙ্গনে শান্তি, নিরাপত্তা ও গণতান্ত্রিক পরিবেশ প্রতিষ্ঠার আন্দোলনকে আরও তীব্র করবে। উল্লেখ্য, গতকাল মঙ্গলবার (১৩ মে) দিবাগত রাত ১২টার দিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চের পাশে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে শাহরিয়ার আলম সাম্য গুরুতর আহত হন। রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
আলোকিত গৌড়/এম.এইচ.টি
মন্তব্য করুন: