[email protected] শুক্রবার, ৯ মে ২০২৫
২৫ বৈশাখ ১৪৩২

শ্রমিকের ন্যায্য মজুরি নিয়ে ইসলামের বার্তা

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ১ মে ২০২৫, ১১:২৩

ফাইল ছবি

ইসলাম ধর্মে ইনসাফ ও ন্যায়বিচারকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে বারবার শ্রমিকের ন্যায্য অধিকার আদায়ে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। কাউকে ঠকিয়ে, অন্যায় করে কেউ ভালো মুসলমান হতে পারে না বলে কোরআনে স্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে।

পবিত্র কোরআনে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআলা বলেন,
"নিশ্চয় আল্লাহ ইনসাফ, সদাচার ও নিকট আত্মীয়দের দান করার আদেশ দেন এবং তিনি অশ্লীলতা, মন্দ কাজ ও সীমালঙ্ঘন থেকে নিষেধ করেন।"
(সূরা নাহল: আয়াত ৯০)

শ্রমিকের অধিকার নিয়ে হাদিসে বারবার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)। তিনি বলেন:
"কেয়ামতের দিন আমি তিন ব্যক্তির বিরুদ্ধে বাদী হব: (১) যে আমার নামে প্রতিশ্রুতি দিয়ে তা ভঙ্গ করেছে, (২) যে কোনো স্বাধীন ব্যক্তিকে বিক্রি করে তার মূল্য ভক্ষণ করেছে, এবং (৩) যে কোনো মজুরের কাছ থেকে কাজ নিয়ে তার মজুরি দেয়নি।"
(সহিহ বুখারি: ২২২৭)

একাধিক হাদিসে উল্লেখ আছে, শ্রমিকের ঘাম শুকানোর আগেই তার পারিশ্রমিক পরিশোধের নির্দেশ দিয়েছেন মহানবী (সা.)। তিনি বলেন,
"শ্রমিকের শরীরের ঘাম শুকানোর আগেই তার মজুরি দিয়ে দাও।"
(সুনানে ইবনে মাজাহ: ২৪৪৩)

শুধু মুখে ক্ষমা চাওয়াই নয়, অন্যায়ের ক্ষতিপূরণও ইসলামে অপরিহার্য। অন্যের পাওনা মেটানো ছাড়া কেয়ামতের দিন মুক্তি পাওয়া যাবে না। মহানবী (সা.) বলেন,
"কারো ওপর অন্যের কোনো পাওনা থাকলে সে যেন তা আদায় করে দেয়। কারণ কেয়ামতের দিন টাকা থাকবে না—সেদিন অন্যের পাওনার বিনিময়ে সওয়াব নিয়ে নেওয়া হবে বা গুনাহ চাপিয়ে দেওয়া হবে।"
(সহিহ বুখারি: ৬৫৩৪)

ইসলাম শ্রমিকের অধিকার রক্ষায় এতটাই কঠোর যে, রাষ্ট্র ও সমাজের দায়িত্ব হলো অন্যায়কারীকে বাধ্য করা যেন সে ন্যায্য পাওনা পরিশোধ করে। ইসলামের দৃষ্টিতে এটি শুধু সামাজিক নয়, একান্ত ধর্মীয় দায়িত্বও।

আলোকিত গৌড়/আ

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর