রাজশাহী সরকারি সিটি কলেজে ইসলামী ছাত্রশিবির ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এতে দুপক্ষের কয়েকজন আহত হন। এই ঘটনার পর কলেজ তাৎক্ষণিক বন্ধ করে দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, দুপুরে শিবিরের কয়েকজন নেতা কলেজে প্রবেশ করছিলেন। এ সময় সেখানে অবস্থানরত ছাত্রদল নেতাদের সঙ্গে তাদের কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে হাতাহাতি শুরু হলে উভয়পক্ষের নেতাকর্মীরা স্লোগান দিতে শুরু করেন। পরে সেখানে রাজশাহী জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ফয়সাল সরকার ডিকো এবং ছাত্রশিবিরের রাজশাহী মহানগর শাখার সভাপতি শামীম উদ্দিনসহ দুই সংগঠনের আরও নেতাকর্মীরা আসেন।
রাজশাহী সরকারি সিটি কলেজ শাখা ছাত্রদলের সদস্য সচিব এমদাদুল হক লিমন বলেন, ‘শিবির এখানে অরাজকতা করতে চাচ্ছে। আমার নাকি এখানে কবর খুঁড়বে। আমার যদি কবর খুঁড়তে হয়, জাতীয়তাবাদী আদর্শকে এই বাংলাদেশে কবর দিতে হবে। তাহলে লিমনকে কবর দিতে পারবে। তাছাড়া শিবির কেন, ছাত্রলীগ কেন, বাংলাদেশের কেউ লিমনকে কবর দেওয়ার ক্ষমতা রাখে না।
শিবিরের এক নেতা বলেন, ছাত্রদলের কথা সিটি কলেজে আমাদের কাজ করতে দেবে না, এটা তাদের উদ্দেশ্য। ওরা যেমন সংগঠন, আমরাও একটা সংগঠন। আমরাও কাজ করার অধিকার রাখি। এজন্য আমরা গিয়েছিলাম। তারা আমাদের বহিরাগত বলে ঢুকতে দেয়নি, বাধা দিয়েছে। কিন্তু আমরা সিটি কলেজেরই শিক্ষার্থী। আমাদের ওপর তারা হামলা করেছে, গতকালও মেরেছে, আজও মেরেছে।
সিটি কলেজ শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি শাহীন রেজা বলেন, কলেজে গিয়েছিলাম নবীনবরণ অনুষ্ঠান আয়োজন করার অনুমতি নিতে। সব বড় বড় কলেজে আমাদের প্রোগ্রাম হচ্ছে। অধ্যক্ষের কাছে অনুমতি নেওয়ার জন্য আমরা গিয়েছিলাম, সেখানে ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে আমরা অবস্থান করি। আমরা কলেজে যাই। কিন্তু ছাত্রদল আমাদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে। তারা বহিরাগত নিয়ে আসছিল। তাই ঝামেলা সৃষ্টি হয়েছে। তারা আমাদের ওপর আক্রমণ করে। আমাদের কয়েকজন আহত হয়। মাথায় কিল-ঘুষি মারে, চোখের নিচে দাগ পড়ে গেছে।
এ ব্যাপারে রাজশাহী সরকারি সিটি কলেজের অধ্যক্ষ ড. ইলিয়াছ উদ্দিন বলেন, কলেজের বাইরে গেটের কাছে ঝামেলা হয়েছিল। এ সময় আমরা তাৎক্ষণিক কলেজ গেট বন্ধ করে দিয়েছিলাম। পরে সব ঠিক হয়েছে। কলেজ চলছে। পরীক্ষা ছিল, পরীক্ষাও হয়েছে। এখন কোনো সমস্যা নেই।
এ বিষয়ে আরএমপির বোয়ালিয়া মডেল থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘দু’পক্ষের মধ্যে ঝামেলা হয়েছিল। খবর পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়। পরে দু’গ্রুপ দু’দিকে চলে যায়। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
আলোকিত গৌড়/আ
মন্তব্য করুন: