চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলায় শ্বশুর কর্তৃক পুত্রবধূকে ধর্ষণের অভিযোগকে ষড়যন্ত্র দাবী করে সংবাদ সম্মেলন করেছে গ্রেফতার শশুরের পরিবার।
তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, পারিবারিক কলহ ও অর্থনৈতিক লেনদেনকে কেন্দ্র করে মিথ্যা অভিযোগ এনে আফসার আলী টুলুকে ফাঁসানো হয়েছে।
সোমবার (১৪ জুলাই) বিকেলে উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের পারদিলালপুর গ্রামে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে এই দাবি করেন অভিযুক্ত আফসার আলী টুলুর স্ত্রী মায়মুনা বেগম।
সংবাদ সম্মেলনে মায়মুনা বেগম বলেন, “আমার ছেলে মাসুদ রানার সঙ্গে মোবারকপুর টিকরি গ্রামের তানিয়া খাতুনের ৮ বছর আগে বিয়ে হয়। কিছুদিন ধরে তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ চলছিল। তানিয়ার পরিবার তাকে তালাক দেওয়ার উদ্যোগ নেয়। এরপর মোহরানা ও অন্যান্য লেনদেন নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে বিরোধ তৈরি হয়।”
তিনি অভিযোগ করেন, “তানিয়ার পরিবার মোহরানা বাবদ ৩৫ হাজার টাকা পাওয়ার কথা থাকলেও ১ লক্ষ ২৬ হাজার টাকা দাবি করে। আমার স্বামী তা দিতে রাজি না হওয়ায় তাকে ডেকে নিয়ে মারধর করে এবং জোর করে ধর্ষণের মিথ্যা স্বীকারোক্তি নেওয়া হয়।”
এর আগে গত ৭ জুলাই আফসার আলীর বিরুদ্ধে শিবগঞ্জের কানসাট ডোবার পাড়া এলাকায় তারই পুত্রবধূকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় বলা হয়, গত ২ জুন রাতে পরিবারের অন্য সদস্যরা অনুপস্থিত থাকাকালে প্রথমবার ধর্ষণ করেন তিনি এবং পরে ভয় দেখিয়ে একাধিকবার একই কাজ করেন।
মামলা দায়েরের পর থেকে আফসার আলী পলাতক ছিলেন। গত ১২ জুলাই দিবাগত রাত ১টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৫ এর একটি দল তাকে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করে এবং শিবগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করে। র্যাব জানায়, অভিযোগ পাওয়ার পর তথ্য যাচাই ও নজরদারির মাধ্যমে অভিযুক্তকে শনাক্ত করা হয়েছে।
অভিযুক্ত পরিবারের দাবি, ঘটনাটি একতরফাভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে এবং প্রকৃত ঘটনা আড়াল করা হচ্ছে। তারা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকলেও, নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত সত্য উদ্ঘাটনের দাবি জানিয়েছেন।
এ সময় পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও বলেন, “আমরা চাই একজন নিরপরাধ মানুষ যেন সাজানো অভিযোগের ভিত্তিতে শাস্তি না পান।”
এদিকে স্থানীয় সচেতন মহলও বলছে, এ ধরনের সংবেদনশীল অভিযোগে পক্ষপাতহীন তদন্ত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আলোকিত গৌড়/জে.আর
মন্তব্য করুন: