জুলাই পুনর্জাগরণ উপলক্ষে সমাজ গঠনে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জে। শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সমাজের সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় অনুষ্ঠান ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তন, ঢাকার সঙ্গে একযোগে দেশব্যাপী এ শপথ অনুষ্ঠান পালন করা হয়।
জেলা প্রশাসনের আয়োজনে, জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তর ও জেলা মহিলা অধিদপ্তরের সহযোগিতায় এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস. মুরশিদের উপস্থাপনায় কেন্দ্রীয় অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।
কেন্দ্রীয় আয়োজনে অংশগ্রহণের পাশাপাশি চাঁপাইনবাবগঞ্জে উপস্থিত সবাই “মানবিক, বৈষম্যহীন ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গড়ার” লক্ষ্যে একসঙ্গে শপথ পাঠ করেন। এর আগে, জুলাই শহিদদের স্মরণে ১ মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
পরে জেলা কালেক্টরেট চত্বরে “সমাজ গঠনে নারী ও শিশুর সুরক্ষা” বিষয়ক এক আলোচনা সভা ও সচেতনতামূলক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো. আব্দুস সামাদ।
সভায় বক্তব্য রাখেন সিভিল সার্জন ডা. এ.কে.এম শাহাব উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ইয়াসির আরাফাত, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের জেলা সমন্বয়ক আব্দুর রাহিম, এবং জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপপরিচালক উম্মে কুলসুম।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জুলাই আন্দোলনের শহিদ তারেক হোসেনের পিতা মো. আশাদুল ইসলাম, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আফাজ উদ্দিন, এবং জেলা মহিলা অধিদপ্তরের উপপরিচালক সাহিদা আখতার প্রমুখ।
জেলা প্রশাসক তাঁর বক্তব্যে বলেন, “তরুণ ছাত্রসমাজ জুলাই আন্দোলনে আমাদের পথ দেখিয়েছেন। ১৬ জুলাই আবু সাঈদের শহিদ হওয়ার মধ্য দিয়ে এই আন্দোলনে নতুন মাত্রা যুক্ত হয়।”
তিনি আরও বলেন, “বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়তে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। শহিদদের আত্মত্যাগ আমাদের জন্য পথের দিশা হয়ে থাকবে।”
অনুষ্ঠানে জুলাই আন্দোলনের শহিদদের আত্মার মাগফিরাত এবং আহতদের সুস্থতা কামনা করা হয়। একই সঙ্গে সাম্প্রতিক বিমান দুর্ঘটনায় নিহত পাইলট ও মাইলস্টোন স্কুলের শিক্ষার্থীদের জন্যও দোয়া করা হয়।
শেষে জেলার ঐতিহ্যবাহী গম্ভীরা পরিবেশনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানটি সমাপ্ত হয়।
আলোকিত গৌড়/আ
মন্তব্য করুন: