[email protected] বৃহঃস্পতিবার, ১৪ আগস্ট ২০২৫
৩০ শ্রাবণ ১৪৩২

চাঁপাইনবাবগঞ্জে পদ্মার পানি বাড়ছে, প্লাবিত নতুন নতুন এলাকা – হাজারো পরিবার পানিবন্দী

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৩ আগষ্ট ২০২৫, ২১:২৭

সংগৃহিত ছবি

পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় চাঁপাইনবাবগঞ্জের সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলার নিম্নাঞ্চলের নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। ইতোমধ্যে ৮ হাজার ৩ শত কৃষকের ২ হাজার হেক্টর জমির আমন ধান, ভুট্টা, হলুদ ও শাকসবজি বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। ফলে নদীতীরবর্তী এলাকার প্রায় ৫০ হাজার মানুষ বন্যা ও ভাঙন আতঙ্কে রয়েছেন।

জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, বুধবার সকাল ৯টায় শিবগঞ্জের পাঁকা পয়েন্টে পদ্মা নদীর পানি ছিল ২১ দশমিক ৭১ মিটার, যা ৬ ঘণ্টা পর বিকেল ৩টায় ১ সেন্টিমিটার বেড়ে দাঁড়ায় ২১ দশমিক ৭২ মিটারে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের সহকারী প্রকৌশলী মাহমুদুল ইসলাম শোভন জানিয়েছেন, আগামী ২৪ ঘণ্টা পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে, এরপর দুই দিন স্থিতিশীল থেকে ধীরে ধীরে পানি কমতে শুরু করবে।

এদিকে সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের প্রায় ৭ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। অনেকেই ঘরবাড়ি ছেড়ে আশ্রয় নিয়েছে উঁচু স্থানে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. ইয়াছিন আলী বলেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে এবং পরবর্তীতে তাদের কৃষি প্রণোদনা দেওয়া হবে।

ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমও চলমান রয়েছে। সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নূরুল ইসলাম জানান, আলাতুলী, চর আলাতুলী, কোদালকাঠি ও নারায়নপুর ইউনিয়নের মোট ৫৫০ পরিবারের মাঝে ১৫ কেজি করে চাল বিতরণ করা হবে। এছাড়া নারায়নপুর ইউনিয়নের ১৫০ পরিবারকে চাল, তেল, লবণ, চিনি সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী দেওয়া হয়েছে।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম জানান, সোমবার (১১ আগস্ট) জেলা প্রশাসক মো. আব্দুস সামাদ শিবগঞ্জ উপজেলার পাঁকা ও উজিরপুর ইউনিয়নের ৭ হাজার ২০০ পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন।

পানি বৃদ্ধির পাশাপাশি নদীভাঙনের ঝুঁকিও বাড়ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এস. এম. আহসান হাবীব জানিয়েছেন, সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলার নারায়নপুর, বাতাসমোড়, পাঁকার ঘাট, মনোহরপুর, ঝাইলপাড়া, মল্লিকপাড়া ও পোলাডাঙ্গা বিওপি এলাকায় ডান ও বাম তীরে প্রায় ২৫ কিলোমিটার ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে। ইতোমধ্যে পোলাডাঙ্গা ও মনোহরপুর এলাকায় জরুরি ভিত্তিতে জিও ব্যাগ ও জিও টিউব ফেলার কাজ চলছে।

সতর্কতা ও ত্রাণ কার্যক্রম চলমান থাকলেও নদীপাড়ের মানুষের মাঝে বন্যা ও ভাঙন নিয়ে চরম উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে।

আলোকিত গৌড়/আ

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর