[email protected] বুধবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
৯ আশ্বিন ১৪৩২

শিশুদের হাতে উঠে আসছে পিচ ঢালাই: স্হানীয়দের প্রতিবাদে বন্ধ রাস্তার কাজ

জাহিদুর রহমান

প্রকাশিত: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৯:২০

ছবি- আলোকিত গৌড়

চাঁপাইনবাবগঞ্জের সদর উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা ইউনিয়নের চকঝগড়ু এলাকায় কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত আড়াই কিলোমিটার সড়কের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। নির্মাণের মাত্র পাঁচ দিন পরই হাতের টানে উঠে যাচ্ছে পিচঢালাই কার্পেটিং।

স্থানীয়রা জানান, শিবগঞ্জ উপজেলার নাককাটিতলা থেকে সদর উপজেলার চকঝগড়ু গ্রাম পর্যন্ত সড়কটির সংস্কার কাজ এক সপ্তাহ আগে শুরু করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু কাজ শেষ হওয়ার আগেই মান নিয়ে অসন্তোষ দেখা দেয়। অভিযোগ উঠেছে, মাটি ও কাদা সরানো ছাড়াই তার ওপর পিচ ঢালাই করা হয়েছে। পর্যাপ্ত বিটুমিন ব্যবহার করা হয়নি এবং অপরিষ্কার ধুলাবালি ও মিশ্রিত পাথর দিয়েই কার্পেটিং করা হয়েছে। ফলে কাজ শক্ত না হয়ে সহজেই উঠে যাচ্ছে।

গত দুই দিনে প্রায় ২০০ মিটার সড়কের পিচ স্থানীয়রা হাত দিয়েই তুলে ফেলেছেন। তারা অভিযোগ করেন, নিম্নমানের কাজের প্রতিবাদ জানালে যুবকদের বাধার মুখে পড়ে কাজ বন্ধ করে চলে যান ঠিকাদার ও শ্রমিকরা। এরপর থেকে কাজ স্থবির হয়ে আছে। এ সময় স্থানীয়দের মামলা করার হুমকিও দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

পথচারী ও এলাকাবাসীরা বলেন, কোটি টাকা ব্যয় হলেও সড়কের কাজের মান অত্যন্ত নিম্নমানের। তারা ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও মানসম্মত কাজের দাবি জানিয়েছেন। অন্যথায় স্থায়ীভাবে কাজ বন্ধ করে দেওয়ারও হুঁশিয়ারি দেন তারা।

এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) নির্বাহী প্রকৌশলী ও উপজেলা প্রকৌশলীর সঙ্গে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে ঠিকাদার গোলাম কিবরিয়া টনিক দাবি করেছেন, নিয়ম মেনেই কাজ করা হচ্ছে।

এদিকে সকল নিয়ম মেনে সঠিকভাবে কাজ হচ্ছে দাবি ঠিকাদার গোলাম কিবরিয়া টনিক বলেন, এ কাজে আমার তরফ থেকে আমি কোন ত্রুটি রাখিনি। আমার প্রত্যেকটা কাজের সাথে ইঞ্জিনিয়াররা ছিল। সরকারি প্রতিনিধিরা সবাই আমার কাজ পর্যবেক্ষণ করেছেন।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নুরুল ইসলাম বলেন, “আমি বিষয়টি গণমাধ্যমের মাধ্যমে জানতে পেরেছি। ইতিমধ্যে কর্মকর্তাদের ঢাকায় তলব করা হয়েছে। তদন্ত শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

উল্লেখ্য, ২.৫ কিলোমিটার চকঝগড়ু-নাককাটিতলা সড়কের সংস্কার কাজে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় এক কোটি টাকা।

আলোকিত গৌড়/আ

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর