চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিজিবির অভিযানে ২৪টি ভারতীয় স্মাট ফোন জব্দ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে শিবগঞ্জ উপজেলার কানসাট পল্লীবিদ্যুৎ এলাকা থেকে ফোনগুলো জব্দ করা হয়। এরপর ফেসবুক লাইভে এসে বিজিবি'র বিরুদ্ধে নানান অপপ্রচার চালান আলমগীর আলী নামে এক ব্যক্তি।
এদিকে আজ শুক্রবার বিকেলে চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৫৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের সদস্যদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগকে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছে মহানন্দা ব্যাটালিয়ন (৫৯ বিজিবি)। বাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এটি সুপরিকল্পিত অপপ্রচার ছাড়া আর কিছু নয়। বিজিবির বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৫ সেপ্টেম্বর দুপুরে শিবগঞ্জ উপজেলার কানসাট পল্লী বিদ্যুৎ মোড় এলাকায় বিশেষ টহল দল অবস্থান নেয়। এসময় একটি মোটরসাইকেল থামানোর সংকেত দিলে আরোহীরা ব্যাগ ফেলে পালিয়ে যায়। পরে তল্লাশিতে ব্যাগ থেকে ২৪টি ভারতীয় চোরাই মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়, যা থানায় জমা দেওয়া হয়েছে।
ঘটনার পর জনৈক মো. আলমগীর আলী ফেসবুক লাইভে এসে দাবি করেন, তার ব্যাগে থাকা ৮ লাখ টাকা বিজিবি ছিনিয়ে নিয়েছে। তবে বিজিবির দাবি, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি, ব্যবসায়ী, গোয়েন্দা সংস্থা ও গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী আলমগীর আলী দীর্ঘদিন ধরে ভারতীয় চোরাই মোবাইল ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। সেদিনও তিনি চোরাকারবারীর কাছ থেকে ২৪টি মোবাইল সংগ্রহ করেছিলেন।
বিজিবি বলছে, অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, সাজানো গল্প এবং বাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুন্নের প্রচেষ্টা মাত্র।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, চলতি বছরের শুরুতে বিএসএফের অবৈধ তারকাঁটা স্থাপন ও ভারতীয় নাগরিক কর্তৃক বাংলাদেশি গাছ কাটার ঘটনায় বিজিবি স্থানীয় কৃষকদের সঙ্গে নিয়ে দৃঢ় অবস্থান নিয়েছিল। বিষয়টি দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমে দেশপ্রেমের দৃষ্টান্ত হিসেবে আলোচিত হয়।
গত তিন বছরে মহানন্দা ব্যাটালিয়ন (৫৯ বিজিবি) ২৯১ জন আসামি আটকসহ ১০৭ কোটি টাকার বেশি চোরাচালান পণ্য জব্দ করেছে। এর মধ্যে ৩ হাজার ৩২৪টি ভারতীয় চোরাই মোবাইল ফোন রয়েছে।
বিজিবি জানায়, মাদক ও চোরাচালানের বিরুদ্ধে তাদের জিরো টলারেন্স নীতি ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।
আলোকিত গৌড়/আ
মন্তব্য করুন: