ঈদুল আজহার দিন ক্যাম্পাসে অবস্থানরত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য গরু ও খাসি কুরবানি দেবে শাখা ছাত্রশিবির।
সংগঠনটির সেক্রেটারি মুজাহিদ ফয়সাল বলেন, এই ঈদে পরিবার ছেড়ে প্রয়োজনের তাগিদে অনেক
শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারী ক্যাম্পাসে অবস্থান করছেন। তাদের জন্য আমরা একটি গরু ও একটি খাসি কুরবানির আয়োজন করেছি। এই আয়োজনের মাধ্যমে আমরা ইসলামের চেতনায় একে অন্যের পাশে দাঁড়ানোর শিক্ষা বাস্তবায়নের চেষ্টা করছি। ঈদ মানে কেবল উৎসব নয়, ঈদ মানে ত্যাগ, সহানুভূতি এবং ভ্রাতৃত্বের বন্ধনকে সুদৃঢ় করা। কোরবানির এই মহৎ কার্যক্রমে অংশ নিতে পেরে আমরা আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায় করছি।
তিনি আরো বলেন, যারা ক্যাম্পাসে অবস্থান করছেন, তাদের যেন কুরবানির আনন্দ থেকে বঞ্চিত হতে না হয়, সেই ভাবনা থেকেই আমাদের এ ক্ষুদ্র প্রয়াস। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যেহেতু দুপুরে খাবারের ব্যবস্থা করেছে, সেহেতু আমরা রাতে খাবারের ব্যবস্থা করেছি।
এর আগে, ৫ জুন সংগঠনটির সভাপতি মুস্তাকুর রহমান জাহিদ এক ফেসবুক পোস্টে বলেন, পবিত্র ঈদুল আজহার আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি বিভিন্ন মেসে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের জন্যও আমরা 'রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবির' একটি ছোট্ট উদ্যোগ নিতে যাচ্ছি।
আমরা দেখেছি আপনারা অনেকেই পরিবারের সাথে ঈদ উদযাপন করতে পারেন না। আমরাও সেই একই অভিজ্ঞতার ভেতর দিয়ে যাচ্ছি। তাই পরিবারের অভাববোধ কিছুটা ভুলে চলুন সবাই মিলে এবারের ঈদের আনন্দটা ভাগ করে নিই।
আমাদের কুরবানির আয়োজন, রান্না-বান্না ও ঈদের খাবার—সবকিছুতেই আপনি অংশ নিতে পারেন। কিংবা চাইলে আমাদের সাথে ঈদের আড্ডা-ভোজেও অংশ নিতে পারেন। পুরো আয়োজনটা আপনাদের জন্যই।
ভিন্ন ধর্মাবলম্বী ভাইয়েরাও আমন্ত্রিত—আপনাদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থাও থাকবে ইনশাআল্লাহ। আসুন, আমরা একসাথে ভালোবাসা ও আনন্দের সময় কাটাই।
শিবিরের মতো ছাত্রদলও কোরবানির আয়োজন করবে কি না—এমন প্রশ্নের উত্তরে রাবি শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সুলতান আহমেদ রাহী বলেন, আমরা কুরবানি বা আলাদা করে কোনো খাবারের ব্যবস্থা করছি না। তবে কোনো শিক্ষার্থীর যদি খাবারের সমস্যা বা থাকার অসুবিধা হয়, আমাদের জানালে আমরা সহায়তা করব।
আলোকিত গৌড়/এম.আর
মন্তব্য করুন: