রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) পরিসংখ্যান বিভাগে এক নারী শিক্ষার্থীকে ব্যক্তিগত কক্ষে ডেকে যৌন হয়রানি ও অশ্লীল কর্মকাণ্ডের অভিযোগ উঠেছে বিভাগের শিক্ষক ড. প্রভাস কুমার কর্মকারের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় তার শাস্তি ও স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
রোববার (১৭ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৪টায় শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করেন। এর আগে তারা বিভাগীয় কার্যালয়ের সামনে ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে বিক্ষোভ করেন।
ভুক্তভোগীর সহপাঠী সালমান সাব্বির অভিযোগ করে বলেন, “অধ্যাপক প্রভাস কুমার ভুক্তভোগী ছাত্রীকে চেম্বারে ডেকে শারীরিক ও মানসিকভাবে লাঞ্ছিত করেন। মূলত, ক্লাস এটেনডেন্সের পারসেন্টেজ জানতে ছাত্রীটি গেলে তিনি পরে ফোন দিয়ে আসতে বলেন। সাজেশনের কথা বলে পরীক্ষার প্রশ্ন দেন এবং ছবি তুলতে নিষেধ করে খাতায় লিখতে বলেন। এ সময় তিনি শিক্ষার্থীর শরীরে অশোভন স্পর্শ ও কুরুচিপূর্ণ প্রস্তাব দেন।”
অন্য সহপাঠী তানজিনা খান বলেন, “এটা শুধু একজন ভিক্টিমের ঘটনা নয়, এর আগে এমন ঘটনা ঘটেছে, ভবিষ্যতেও ঘটতে পারে। আমরা স্থায়ী সমাধান চাই। দ্রুত স্থায়ী বহিষ্কার না হলে আমরা কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করব।”
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক ড. প্রভাস কুমার কর্মকারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।
পরিসংখ্যান বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম জানান, “অভিযোগের বিষয়ে বিভাগীয় পর্যায়ে একটি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি গঠন করা হয়েছিল। কমিটির প্রতিবেদন আজ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। তারা যাচাই করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেবেন।”
জানা গেছে, গত ৪ আগস্ট বিভাগের ব্যক্তিগত কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। পরে ১৩ আগস্ট ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মা বিভাগের সভাপতির কাছে লিখিত অভিযোগ দেন।
অভিযুক্ত শিক্ষক ড. প্রভাস কুমার কর্মকার পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষক, বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদের সভাপতি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের সাবেক প্রশাসক। ভুক্তভোগী নারী শিক্ষার্থী একই বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী।
আলোকিত গৌড়/আ
মন্তব্য করুন: