[email protected] সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
৭ আশ্বিন ১৪৩২

ছাত্রশিবির নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন চাই ,ছাত্রদল চাই পূজের ছুটির পরে

আবু বকর সৈকত

প্রকাশিত: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৭:৫৬

ছবি- আলোকিত গৌড়

নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ২৫ তারিখ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ছাত্র সংসদ (রাকসু), হল সংসদ ও সিনেট প্রতিনিধি নির্বাচন নির্ধারিত সময়ে শাখা ছাত্র শিবির চাই নির্বাচন হোক এবং অন্যদিকে ছাত্রদল চাই নির্বাচন পূজোর ছুটির পরে অনুষ্ঠিত হোক।

সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টায় রাকসু কার্যালয়ের সামনে ছাত্রদল ও ছাত্রশিবির একই দিনে বিকাল ৩ টায় প্রার্থীরা এ কথা জানান ।

শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ডাকা কম্পলিট শাটডাউনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে কি না। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ নিয়ে বড় দুই দল ভিন্ন মত পোষণ করেন।

ছাত্রদল বলেছে, পূজার ছুটি ও কমপ্লিট শাটডাউনের কারণে ক্যাম্পাসে ভোটারদের উপস্থিতি কমে গেছে। তাই তারা চায় সর্বোচ্চ ভোটার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে নির্বাচন পূজার ছুটির পরে অনুষ্ঠিত হোক। অপরদিকে ছাত্রশিবির বলছে, তারা ২৫ তারিখেই রাকসু নির্বাচন চায়। প্রশাসন থেকে একটা বোল্ড স্টেটমেন্ট চায় তারা, যেন ২৫ তারিখেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তারা জানান, তাহলে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে থাকবে এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হবে।

একইদিনে বিকেল ৩টায় রাকসুর কোষাধ্যক্ষের কার্যালয়ের সামনে একটি সংবাদ সম্মেলনে ৪দফা দাবি উত্থাপন করেন রাবি শাখা ছাত্রশিবির। সেখানে ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের ভিপি পদপ্রার্থী মোস্তাকুর রহমান জাহিদ বলেন, 'দীর্ঘ ৩৫ বছর পর রাকসু নির্বাচন হচ্ছে, প্রার্থী- শিক্ষার্থী সবারই অনেক সময় ব্যায় হয়েছে এই নির্বাচনের পিছনে। অনেক প্রার্থী পরীক্ষার পাশাপাশি নির্বাচনি প্রচারণা চালিয়েছে। রাকসু নির্বাচনের যে আমেজ তৈরি হয়েছে, যথাসময়ে নির্বাচন না হলে সেটা আর থাকবে না। তাই আমাদের বোল্ড স্টেটমেন্ট হচ্ছে ২৫ তারিখের নির্বাচন, ২৫ তারিখেই চাই। আমরা ছাত্রশিবিরসহ অনেক প্যানেলের প্রার্থীরা চায় যে যথাসময়ে নির্বাচন হোক। আর নইলে সবাই এটার প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলবে৷'

এ বিষয়ে কথা হয় ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেলের ভিপি প্রার্থী মোস্তাকুর রহমান জাহিদ বলেন, ‘পোষ্যকোটা বাতিল ও ২৫ সেপ্টেম্বর নির্বাচনের দাবিতে আমরা অনড় আছি। কিন্তু নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা দেখছি। শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যদি নির্বাচনে সহযোগিতা না করেন, তাহলে নির্বাচন খুবই কষ্টকর হবে। ২০ তারিখের ঘটনায় সব প্যানেলের প্রচার-প্রচারণায় ভাটা পড়েছে। অনেক শিক্ষার্থী বাড়ি চলে গেছেন। প্রশাসনের ভুল সিদ্ধান্তের কারণেই উৎসবমুখর পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। এ জন্য প্রশাসনকে শিক্ষার্থীদের পালস বুঝে কাজ করতে হবে।’

২৫ তারিখে নির্বাচন হলে কেমন অংশগ্রহণমূলক হবে এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, 'আমরা চাই নির্বাচনে ভোট কাস্টিং যাতে সর্বোচ্চ পর্যায়ে হয়। শিক্ষার্থীদের ধরে রাখার দায়িত্ব প্রশাসনের এবং প্রশাসন যেখানে নিশ্চিত করতে পারছে না ২৫ তারিখ নির্বাচন হবে, সেজন্য শিক্ষার্থীরা দুলাচলে পরে বাসায় চলে যাচ্ছে। আমি মনে করি, প্রশাসন যদি একটা বোল্ড স্টেটমেন্ট দেয় যে, ২৫ তারিখেই রাকসু হবে, তাহলে শিক্ষার্থীরা সেক্রিফাইস করে ক্যাম্পাসে থাকবে এবং নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে।'

আলোকিত গৌড়/আ

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর