[email protected] রবিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৫
২০ আশ্বিন ১৪৩২

ব্র্যান্ডিং ও মার্কেটিংয়ে উদ্ভাবনী ভূমিকার স্বীকৃতি পেলো রাজশাহী কলেজের শিক্ষার্থী

মো: ইয়াজ উদ্দীন আহম্মেদ

প্রকাশিত: ৫ অক্টোবর ২০২৫, ১০:৪৬

ছবি- আলোকিত গৌড়

রাজশাহী কলেজের মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী ও তরুণ উদ্যোক্তা মো. শাখাওয়াত হোসেন অর্জন করেছেন “স্টার এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড–২০২৫”। ব্র্যান্ডিং ও মার্কেটিং ক্যাটাগরিতে তাঁর সৃজনশীল ও অনুকরণীয় অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে এ সম্মাননা প্রদান করা হয়।

মানবাধিকার প্রতিদিনের পঞ্চম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে স্টার বাংলাদেশ মিডিয়ার আয়োজনে গতকাল শনিবার (৪ অক্টোবর) বিকেল ৫টায় রাজধানীর সেগুনবাগিচাস্থ কেন্দ্রীয় কচিকাঁচা অডিটোরিয়ামে এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পুরস্কার প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন দৈনিক করতোয়া পত্রিকার সম্পাদক মো. মোজাম্মেল হক। প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এটিএন বাংলা–এর উপদেষ্টা (অনুষ্ঠান) তাশিক আহমেদ।

বিশেষ অতিথি ছিলেন, চলচ্চিত্র অভিনেত্রী সুজাতা আজিম, বিশিষ্ট চলচ্চিত্র পরিচালক জ্যাম্বস কাজল এবং অভিনেতা কাজী হায়াত। এছাড়াও বিভিন্ন গণমাধ্যমকর্মী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও সমাজের বিশিষ্টজনেরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

দেশের বিভিন্ন খাতে অনুকরণীয় অবদান রাখা ৩০ জনকে “স্টার এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড–২০২৫” এবং দুইজন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে “স্টার এক্সিলেন্স লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড–২০২৫” প্রদান করা হয়।

ব্র্যান্ডিং ও মার্কেটিং বিভাগে এই পুরস্কার অর্জন করেন রাজশাহী কলেজের মার্কেটিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ও লাইকিং প্লাস -এর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাখাওয়াত হোসেন।

২০১৭ সালে অনলাইনে টি–শার্ট ব্যবসার মাধ্যমে উদ্যোক্তা হিসেবে পথচলা শুরু করেন শাখাওয়াত। ব্যর্থতার অভিজ্ঞতা পেরিয়ে ২০১৮ সালে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন লাইকিং প্লাস, যা বর্তমানে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের ব্র্যান্ডিং, মার্কেটিং ও ব্যবসা উন্নয়নে কাজ করছে।

বর্তমানে তাঁর প্রতিষ্ঠানটি ২০০ এরও বেশি উদ্যোক্তাকে ব্যবসা গড়ে তুলতে সহায়তা করেছে। পাশাপাশি নারী ও তরুণ শিক্ষার্থীদের জন্য ইন্টার্নশিপ ও কর্মসংস্থানের সুযোগও তৈরি করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

পুরস্কার প্রাপ্তির পর অনুভূতি জানাতে গিয়ে শাখাওয়াত হোসেন বলেন, আমার লক্ষ্য শুধু নিজের সাফল্য নয়, রাজশাহী কলেজসহ দেশের তরুণদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করা। পড়াশোনার পাশাপাশি কাজ শেখা ও বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জনের প্ল্যাটফর্ম দিতে পেরেছি, এটাই সবচেয়ে বড় সাফল্য মনে করি।

আলোকিত গৌড়/আ

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর