রাজশাহীতে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বিশ্ব ডাক দিবস উদযাপন করা হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) সকালে নগরীর লক্ষিপুরে অবস্থিত ডাক বিভাগের আঞ্চলিক কার্যালয়ে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উত্তরাঞ্চলের পোস্টমাস্টার জেনারেল কাজী আসাদুল ইসলাম। এসময় উত্তরাঞ্চলের অতিরিক্ত পোস্টমাস্টার জেনারেল ড. মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন ডাক জীবন বীমার রিজিওনাল ম্যানেজ
আলোচনা সভায় উপস্থিত বক্তারা বলেন- ডাকপিয়ন, ডাকঘর ও চিঠির যুগ একসময় মানুষের আবেগ ও যোগাযোগের প্রতীক ছিল। সেই সময় মানুষ দিন গুনে অপেক্ষা করত প্রিয়জনের চিঠির জন্য। এখন যদিও প্রযুক্তির উন্নয়নে যোগাযোগের ধরন পাল্টে গেছে, তবুও ডাক বিভাগের গুরুত্ব কমেনি। বক্তারা জানান, সরকার ডাক বিভাগকে সময়োপযোগী করতে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে।
বক্তারা বলেন, চিঠিপত্রের যুগ শেষ হলেও ডাক বিভাগের সেবা থেমে নেই। ই-কমার্সের জন্য ডাকঘর এখন একটি নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। দেশের প্রতিটি এলাকায় ডাকঘরের অবকাঠামো ও জনবল আছে, যা গ্রামীণ ও দুর্গম অঞ্চলে পণ্য পৌঁছে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
বক্তারা আরও জানান, হিমায়িত খাদ্য থেকে শুরু করে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য পর্যন্ত এখন ডাক বিভাগের মাধ্যমে সহজে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে।
এর আগে সকালে সাড়ে ৭টায় নগরীর ‘জনগণের জন্য ডাক, স্থানীয় পরিষেবা, বৈশ্বিক পরিসর’—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে লক্ষিপুরে অবস্থিত ডাক বিভাগের আঞ্চলিক কার্যালয় চত্বর থেকে বর্ণাঢ্য র্যালিটি বের হয়। র্যালিটি নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় ডাক বিভাগ কার্যালয়ে এসে শেষ হয়। এতে ডাক বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী, ডাক জীবন বীমা প্রতিনিধিসহ ই-কমার্স ও ডাক সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অনেকে অংশ নেন। দিবসটি উপলক্ষে পোস্টাল কমপ্লেক্স নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। পরে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।
আলোকিত গৌড়/আ
মন্তব্য করুন: