রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে কটুক্তি ও কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, রাবি শাখা।
রবিবার (১৯ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭টায় সংগঠনটির সেক্রেটারী মুজাহিদ ফয়সাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমানের কাছে স্মারকলিপি জমা দেন।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের ২০২১–২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী শাকিল আহমেদের একটি ফেসবুক পোস্টে মন্তব্যের প্রতিউত্তরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০ ব্যাচের শিক্ষার্থী দিপ্ত রয় রাসুল (সা.)-কে উদ্দেশ করে অশালীন ও অবমাননাকর মন্তব্য করেন। পরবর্তীতে তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কালেমা বিকৃত করে এবং রাসুল (সা.)-এর প্রতি ব্যঙ্গাত্মক বার্তা প্রকাশ করেন, যা ধর্মপ্রাণ শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মুসলমানদের হৃদয়ে গভীর আঘাত হেনেছে।
ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে স্মারকলিপিতে চার দফা দাবিগুলো হলো, ঘটনার দ্রুত, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ তদন্ত নিশ্চিত করা। দোষী প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কঠোর প্রশাসনিক ও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ। সংশ্লিষ্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের আইডেন্টিটি যাচাই ও প্রয়োজনে প্রযুক্তিগত তদন্তের আহ্বান। অতীতে সংঘটিত কুরআন পোড়ানোর ঘটনাগুলোরও পূর্ণাঙ্গ তদন্ত ও দোষীদের বিচারের আওতায় আনা।
স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, ইসলাম ও মুসলমানদের অনুভূতিতে আঘাতকারী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণই পারে ক্যাম্পাসে ধর্মীয় সম্প্রীতি ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে।
ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তির সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানিয়ে শাখা ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারী মুজাহিদ ফয়সাল বলেন, আমাদের ক্যাম্পাসে রাসুল (স.) কে কটুক্তি করা হয়েছে। সেটির প্রতিবাদে আমরা প্রশাসন বরাবর স্মারকলিপি জমা দিয়েছি। এর আগে কোরআন পোড়ানোর মতো একটা ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটেছে। যেইটার সুষ্ঠু বিচার এখনো পর্যন্ত হয়নি। যে ব্যক্তি রাসুল (স.) কে কটুক্তির ঘটনাটা ঘটিয়েছে তার ম্যাসেজ গুলো দেখে আমারা বুঝতে পারছি তিনি অবশ্যই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। আমরা চাই গোয়েন্দা সংস্থা এবং আইটি টিমের সহযোগিতা নিয়ে জড়িত ব্যক্তিকে শনাক্ত করে কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হোক।
আলোকিত গৌড়/আ
মন্তব্য করুন: