চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাটে পেঁয়াজ চাষ করে লাভের আশা দেখছেন চাষীরা। গত বছর পেঁয়াজ চাষ করে ভারত থেকে আমদানি কৃত পেঁয়াজ বাংলাদেশে আসায় ও দাম কম হওয়ায় লোকসানের মুখে পড়তে হয়েছিল বলে অভিযোগ চাষীদের।
এবার এই উপজেলায় প্রায় ১২০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের চাষ হয়েছে। চাষীরা বলেন এর আগের বছর গুলোতে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করার ফলে দেশের পেঁয়াজ এর সঠিক মূল্য পাইনি তারা ।
আরো বলেন পেঁয়াজের বিঘা প্রতি উৎপাদন খরচ প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকা তাই এবার যদি বাজার দর স্বাভাবিক থাকে এবং ভারতীয় পেঁয়াজ দেশে আমদানি না হয় তাহলে চাষীরা লাভবান হবেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ সুলতান আলী বলেন, ভোলাহাট একটি প্রান্তিক উপজেলা হলেও এখানে কৃষি ফসল হিসেবে প্রায় সকল ধরণের ফসল উৎপাদন হয়। তেমনি মসলা জাতীয় ফসল হিসেবে এবার ১২০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ চাষ হয়েছে এসব পেঁয়াজ এই উপজেলার মানুষের চাহিদা মিটিয়ে বাইরেও বাজার জাত করা সম্ভব।
পেঁয়াজ সংরক্ষণ এর বিষয়ে তিনি কৃষক দের উদ্দেশ্যে বলেন, এর আগে ভোলাহাটে পেঁয়াজ সংরক্ষণ ব্যবস্থা ছিলো না যার ফলে সঠিক সময় বাজার জাত করতে না পারলে পেঁয়াজ নষ্ট হতো। তবে এবার প্রায় পেঁয়াজ চাষীদের মাঝে পেঁয়াজ সংরক্ষণ যন্ত্র কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে বিতরণ করা হয়েছে। যার ফলে পেঁয়াজ নষ্ট কম হবে এবং বেশিদিন সংরক্ষণ করা সম্ভব হবে।
তিনি আরো বলেন, বাইরে থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হলে দেশের কৃষকরা লাভবান হবেন যা দেশের উন্নয়নের জন্যেও ব্যাপক ভূমিকা রাখবে।
আলোকিত গৌড়/আ
মন্তব্য করুন: