[email protected] শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫
৬ পৌষ ১৪৩২

শরীফ ওসমান হাদির মৃত্যুর প্রতিক্রিয়ায়

প্রথম আলো–ডেইলি স্টারের অফিস ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগে কার্যক্রম বন্ধ

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:০৪

ছবি : সংগৃহীত

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অবস্থিত দৈনিক প্রথম আলো ও ইংরেজি পত্রিকা দ্য ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার পর শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) দুটি পত্রিকার ছাপা সংস্করণ প্রকাশিত হয়নি। একই সঙ্গে পত্রিকা দুটির অনলাইন কার্যক্রমও প্রায় সম্পূর্ণভাবে স্থবির হয়ে পড়েছে।

বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পত্রিকা দুটির শীর্ষ কর্মকর্তারা। তারা জানান, আকস্মিক হামলার পর কর্মীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে সবাইকে দ্রুত অফিস ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়। এতে কার্যালয়ের সব কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যায়।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১২টার দিকে কয়েকশ’ বিক্ষুব্ধ ছাত্রজনতা প্রথমে দৈনিক প্রথম আলো এবং পরে দ্য ডেইলি স্টারের অফিসে হামলা চালায়। এ সময় তারা পত্রিকা দুটিকে 'ভারতের দালাল' উল্লেখ করে বিভিন্ন স্লোগান দেন। একপর্যায়ে ভাঙচুর চালিয়ে ভবনের ভেতরে ও বাইরে অগ্নিসংযোগ করা হয়।

ঘটনার সূত্রপাত হয় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর সংবাদ ছড়িয়ে পড়ার পর। তার মৃত্যুর খবরে প্রতিক্রিয়ায় শাহবাগ এলাকা থেকে একটি মিছিল কারওয়ান বাজারের দিকে অগ্রসর হয়। মিছিলটি প্রথম আলো কার্যালয়ের সামনে পৌঁছে ঘেরাও ও বিক্ষোভ শুরু করে।

একপর্যায়ে বিক্ষুব্ধরা প্রথম আলো কার্যালয়ে প্রবেশ করে ভবনের অধিকাংশ জানালার কাচ ভেঙে দেয়। ভেতরে থাকা টেবিল-চেয়ার ও নথিপত্র বাইরে এনে সেগুলোতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। রাত সাড়ে ১২টার পর একই ধরনের ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ চালানো হয় দ্য ডেইলি স্টার অফিসেও।

হামলার সময় দুই পত্রিকার একাধিক সাংবাদিক ও কর্মকর্তা ভবনের ভেতরে ও ছাদে আটকা পড়েন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও বিজিবির সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিক্ষুব্ধদের সরিয়ে দেন। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে এনে আটকে পড়া কর্মীদের উদ্ধার করেন।

ডেইলি স্টারের প্রতিবেদক আহমেদ দীপ্ত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে লেখেন,
“এমন লেট নাইট ডিউটি যেন কারও জীবনে না আসে। ছাদে আটকা পড়ছি। ভবনে আগুন দিছে, দেখা নাও হতে পারে।”

ডেইলি স্টারের আরেকজন সাংবাদিক জানান, ঘটনার সময় ভবনের ভেতরে এখনও বহু সংবাদকর্মী ও কর্মকর্তা আটকা ছিলেন।

ঘটনার পর কারওয়ান বাজার এলাকায় অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।

আলোকিত গৌড়/এম.আর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর