[email protected] সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫
৯ আষাঢ় ১৪৩২

চেয়ারম্যান অপসারণসহ চার দফা দাবিতে উত্তাল এনবিআর, শাটডাউনের হুঁশিয়ারি

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ২৩ জুন ২০২৫, ১৪:০৩

সংগৃহিত ছবি

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চেয়ারম্যানের অপসারণসহ চার দফা দাবিতে আবারও আন্দোলনে নেমেছে এনবিআরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। দাবিগুলো আদায় না হলে আগামী শনিবার (২৮ জুন) থেকে এনবিআরের সব দপ্তরে লাগাতার ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে ‘এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ’।

সোমবার (২৩ জুন) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এনবিআর ভবনে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এই ঘোষণা দেন আন্দোলনকারীরা। এর আগে সকাল ৯টা থেকে চার ঘণ্টাব্যাপী কলম বিরতি পালন করেন এনবিআরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। কর্মসূচির অংশ হিসেবে অনেককে শরীরে কাফনের কাপড় জড়িয়ে অবস্থান নিতে দেখা যায় এনবিআর ভবনের চত্বরে। সকাল থেকেই বিভিন্ন ইউনিটের কর্মকর্তারা ভবনে জড়ো হন এবং বিভিন্ন ধরনের প্রতিবাদী স্লোগান দেন।

আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, এনবিআর চেয়ারম্যানকে অপসারণের দাবিকে উপেক্ষা করে চলমান রাজস্ব সংস্কারে তাদের যৌক্তিক অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হয়নি। তারা বলেন, সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে পরামর্শ না করে গৃহীত সিদ্ধান্তগুলো অগণতান্ত্রিক এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এরই মধ্যে আয়কর অনুবিভাগের পাঁচ কর্মকর্তাকে হঠাৎ করে বদলি করা হয়, যা কর্মীদের ক্ষোভ আরও বাড়িয়ে দেয়। কর্মসূচিতে বদলির প্রতিবাদে ব্যানার-প্ল্যাকার্ড হাতে নানা স্লোগানে মুখর হয় এনবিআর চত্বর।

আন্দোলনের বিষয়ে এক কর্মকর্তা বলেন, এই বদলি কোনো সাধারণ প্রশাসনিক প্রক্রিয়া নয়, বরং এটি একটি সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অংশ, যার মাধ্যমে চলমান রাজস্ব সংস্কারকে বাধাগ্রস্ত করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের অংশগ্রহণ ছাড়া সুষ্ঠু ও কার্যকর কোনো সংস্কার সম্ভব নয়।

এর আগে গত মে মাসে এনবিআরকে দুটি বিভাগে ভাগ করে ‘রাজস্ব ব্যবস্থাপনা’ ও ‘রাজস্ব নীতি’ নামে দুটি স্বতন্ত্র বিভাগ গঠন করে অধ্যাদেশ জারি করে সরকার। সেই অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে এনবিআরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আন্দোলনে নামেন এবং এনবিআর চেয়ারম্যানকে সংস্থার কার্যালয়ে ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণা করেন। পরে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে চেয়ারম্যান কার্যালয়ে ফিরলেও তার প্রতি অসন্তোষ থেকে যায়।

আন্দোলনকারীরা স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন, দাবি মানা না হলে ২৮ জুন থেকে সারা দেশে এনবিআরের সব কার্যালয়ে লাগাতার শাটডাউন কর্মসূচি শুরু হবে। সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সদিচ্ছা না থাকলে এই সংকট আরও তীব্র হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।

আলোকিত গৌড়/আ

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর