কমবেশি সবারই প্রিয় খাবারের তালিকায় রয়েছে ডিম। কেউ সেদ্ধ, কেউ অমলেট বা পোচ আবার কেউ ভাজা করে খেতে পছন্দ করেন। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যেভাবেই খাওয়া হোক না কেন, ডিম একটি সুপারফুড এবং এর পুষ্টিগুণ প্রায় একই থাকে।
পুষ্টিবিদদের মতে, ডিম প্রোটিনের উৎকৃষ্ট উৎস। এতে থাকা নয়টি অত্যাবশ্যকীয় অ্যামিনো অ্যাসিড শরীরকে সুস্থ রাখে, পেশি মেরামত করে এবং দেহের উন্নতিতে সহায়তা করে। এছাড়া ডিমে রয়েছে ভিটামিন বি১২, ভিটামিন ডি, বায়োটিন, থায়ামিন, রাইবোফ্লাভিন ও সেলেনিয়াম—যা দেহে শক্তি উৎপাদন ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়ক।
ডিমের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট চোখের জন্য ভালো, আর অসম্পৃক্ত চর্বি ভালো কোলেস্টেরল (এইচডিএল) বাড়াতে সাহায্য করে। ত্বকের আর্দ্রতা ও নমনীয়তা বৃদ্ধিতে ডিমে থাকা লুটেইন কার্যকর ভূমিকা রাখে।
চিকিৎসকরা বলছেন, অমলেট বা পোচের তুলনায় সেদ্ধ ডিম বেশি কার্যকরী। এতে অতিরিক্ত তেল-চর্বি ব্যবহার করা হয় না, ফলে ক্যালরি কম থাকে। এছাড়া সেদ্ধ ডিমে থাকা কোলিন মস্তিষ্কের বিকাশ ও স্বাস্থ্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং রক্তে কোলেস্টেরল কমাতেও সহায়তা করে।
তবে ভাজা ডিমেরও কিছু সুবিধা আছে। এতে ব্যবহৃত পেঁয়াজ, মরিচ, টমেটো, ধনেপাতা বা মাখনের মতো উপকরণ স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। বিশেষত ফসফরাসের পরিমাণ সেদ্ধর তুলনায় ভাজা ডিমে বেশি থাকে, যা হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে।
অতএব, সেদ্ধ বা ভাজা—যেভাবেই খান না কেন, ডিমে থাকা প্রোটিন ও পুষ্টি উপাদান প্রায় কাছাকাছি থাকে। তবে স্বাস্থ্যসচেতনদের জন্য সকালে একটি সেদ্ধ ডিম খাওয়া সবচেয়ে ভালো বিকল্প।
আলোকিত গৌড়/আ
মন্তব্য করুন: