জার্মানির একটি প্রধান মুসলিম সংগঠন দেশটির সরকারকে আহ্বান জানিয়েছে, গাজার আহত ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত শিশুদের জার্মানিতে এনে চিকিৎসা ও মানসিক সহায়তা প্রদানের অনুমোদন দিতে। গত শুক্রবার (১ নভেম্বর) কোলোনভিত্তিক মুসলিম কো-অর্ডিনেশন কাউন্সিলের পক্ষ থেকে এই আহ্বান জানানো হয়।
সংগঠনের মুখপাত্র আলি মেটে এক বিবৃতিতে বলেন, “গাজার যুদ্ধবিধ্বস্ত শিশুদের জার্মানিতে এনে চিকিৎসা ও সুরক্ষা দেওয়া আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। এর কম কিছু করা আমাদের মানবতা ও সহমর্মিতার ধারণার পরিপন্থী।”
তিনি আরও বলেন, “গাজার শিশুরা অবর্ণনীয় কষ্টের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। কেউ ইসরায়েলি হামলায় মারাত্মকভাবে আহত, কেউবা বাবা-মা, ভাইবোন ও বন্ধুহারা হয়ে ধ্বংসস্তূপের মধ্যে একা পড়ে আছে। এই শিশুরা শুধু শারীরিকভাবে নয়, গভীরভাবে মানসিক আঘাতপ্রাপ্তও।”
আলি মেটে জানান, জার্মানির বেশ কয়েকটি শহর ও নাগরিক সংগঠন ইতোমধ্যে আহত শিশু ও তাদের পরিবারের যত্ন নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, অতীতেও জার্মানি যুদ্ধ ও সংকটপীড়িত অঞ্চল থেকে শিশুদের দেশে প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে। “গাজার ভয়াবহ পরিস্থিতিতে এই মানবিক ঐতিহ্য বন্ধ হওয়া উচিত নয়,” বলেন তিনি।
ইউনিসেফের তথ্যমতে, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত গাজায় অন্তত ৬১ হাজার শিশু নিহত বা আহত হয়েছে—অর্থাৎ গড়ে প্রতি ১৭ মিনিটে একজন শিশু ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অনেকেই একাধিকবার বাস্তুচ্যুত হয়েছে, কেউ অনাথ, কেউবা মানসিকভাবে ভীষণভাবে আঘাতপ্রাপ্ত।
২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত ৬৮ হাজারেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। যদিও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনার ভিত্তিতে ১০ অক্টোবর ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি হয়, তবে ইসরায়েল একাধিকবার সেই চুক্তি লঙ্ঘন করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি
আলোকিত গৌড়/আ
মন্তব্য করুন: