[email protected] সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫
৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

সুদানে ‘অকল্পনীয় নৃশংসতার’ সতর্কবার্তা জাতিসংঘের

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ৯ নভেম্বর ২০২৫, ১০:২০

সংগৃহিত ছবি

গাজার পর এবার মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে সুদানের উত্তর দারফুরের রাজধানী এল-ফাশার। আধাসামরিক বাহিনী র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) গত ২৬ অক্টোবর শহরটি দখল করার পর থেকেই সেখানে শুরু হয়েছে ভয়াবহ নৃশংসতা— হত্যা, লুটপাট, নির্যাতন ও জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতি।

জাতিসংঘ জানিয়েছে, এল-ফাশারে বেসামরিক মানুষের বিরুদ্ধে চলছে “অকল্পনীয় নৃশংসতা।”

জাতিসংঘের তথ্যমতে, শহরের মোট ২ লাখ ৬০ হাজার বাসিন্দার মধ্যে অন্তত ৮২ হাজার মানুষ এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে। এখনও অসংখ্য মানুষ সেখানে আটকা পড়ে আছেন, নিরাপদ আশ্রয় পাচ্ছেন না।

শনিবার জাতিসংঘের সুদানে নিযুক্ত মানবাধিকার প্রতিনিধি লি ফাং এক ভিডিও বার্তায় বলেন, “গত ১০ দিনে এল-ফাশারে ভয়াবহ হামলা চালানো হয়েছে। ১৮ মাসের অবরোধ ও সংঘাত থেকে বেঁচে যাওয়া সাধারণ মানুষের ওপর নৃশংসতার মাত্রা কল্পনাতীত।”

তিনি আরও জানান, শত শত মানুষ নিহত হয়েছে, যাদের মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছে। হাসপাতাল, স্কুল ও আশ্রয়কেন্দ্র পর্যন্ত নিরাপদ নয়— বহু পরিবার এখনো নিখোঁজ।

এল-ফাশার থেকে পালিয়ে আসা ১৬ হাজারের বেশি মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন উত্তর দারফুরের তাওইলা শহরে।

সুদানের অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুত ব্যক্তি ও শরণার্থী সহায়তা সংগঠনের মুখপাত্র আদম রোজাল জানান, আশ্রয়প্রার্থীদের অধিকাংশের কাছেই খাবার, ওষুধ বা থাকার জায়গা কিছুই নেই।

সংগঠনটির প্রকাশিত ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে— ছেঁড়া ত্রিপল, কাপড় ও কাঠ দিয়ে বানানো অস্থায়ী আশ্রয়স্থল, যেখানে বহু পরিবার দিনে মাত্র একবেলা খাবার পাচ্ছেন।

আন্তর্জাতিক চিকিৎসা সংস্থা ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস (MSF) জানিয়েছে, শরণার্থীদের মধ্যে বিশেষ করে শিশু ও বয়স্করা ভয়াবহ অপুষ্টিতে ভুগছেন।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে সুদানের সেনাপ্রধান জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান এবং আধাসামরিক বাহিনী আরএসএফ প্রধান মোহাম্মদ হামদান দাগালো (হেমেতি)-র মধ্যে ক্ষমতা ও সামরিক নিয়ন্ত্রণ নিয়ে তীব্র দ্বন্দ্ব শুরু হয়।

আরএসএফ-কে সেনাবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করা ও নেতৃত্বের প্রশ্নে দ্বন্দ্ব গড়ায় পূর্ণাঙ্গ গৃহযুদ্ধে, যার ভয়াবহ পরিণতি আজ দেখা যাচ্ছে এল-ফাশারে।

সূত্র: আল-জাজিরা

আলোকিত গৌড়/আ

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর