বর্তমানে অনেকেই বিয়ে নিয়ে সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগেন। পরিবার থেকে চাপ এলেও ব্যক্তিগতভাবে বিয়ের জন্য প্রস্তুত কিনা—এই প্রশ্নের উত্তর জানা থাকে না অনেকেরই। বিয়ে শুধু সামাজিক রীতি নয়, এটি জীবনের একটি নতুন অধ্যায়, যেখানে মানসিক, আবেগীয় ও আর্থিক প্রস্তুতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই জীবনের নতুন ইনিংস শুরু করার আগে কিছু বিষয় ভেবে দেখা জরুরি।
সম্ভাব্য সঙ্গীর সঙ্গে মতের মিল
আপনি যাকে বিয়ে করতে যাচ্ছেন, তার সঙ্গে আপনার বিশ্বাস, আদর্শ ও জীবনের লক্ষ্য কতটা মেলে, সেটি বিবেচনা করুন। সম্ভাব্য সঙ্গীর সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা করুন নিজের আকাঙ্ক্ষা, চাহিদা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে। তার পেশা, খাদ্যাভ্যাস ও শখ সম্পর্কেও জানুন। সব বিষয়ে মিল না থাকলেও মৌলিক দৃষ্টিভঙ্গিতে যেন সংঘাত না হয়, সেটি নিশ্চিত করা জরুরি।
আবেগ নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা
বিয়ে টিকিয়ে রাখতে হলে আবেগীয় স্থিরতা অপরিহার্য। রাগ, হতাশা বা মতবিরোধের সময় নিজেকে সংযত রাখতে পারেন কি না—সেটা ভেবে দেখুন। কারণ, আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে দাম্পত্য জীবনে অস্থিরতা দেখা দিতে পারে। সঙ্গীর ব্যথা বুঝে নেওয়া ও সহানুভূতিশীল আচরণ করার মানসিকতা থাকা দরকার।
পরিণত আচরণের সংকল্প
বিয়ের পর জীবন বদলে যায়—নতুন মানুষ, নতুন দায়িত্ব, নতুন পরিবেশ। এসব মানিয়ে নেওয়ার মানসিকতা না থাকলে দাম্পত্য জীবনে টানাপোড়েন আসতে পারে। তাই নতুন পরিস্থিতি থেকে শেখার মনোভাব ও দায়িত্বশীল আচরণ জরুরি।
আর্থিক প্রস্তুতি
সংসার চালাতে অর্থনৈতিক পরিকল্পনা অপরিহার্য। মাসিক খরচ, সংসারের ব্যয়ভার, সঙ্গীর জীবনধারা—সবকিছু ভেবে দেখতে হবে। বিয়ের পর আর্থিক বিষয় নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি দাম্পত্য সম্পর্কের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। তাই আগে থেকেই বাস্তবসম্মত পরিকল্পনা তৈরি করুন।
নিজের সম্পর্কে সচেতনতা
নিজেকে জানুন—আপনার শক্তি, দুর্বলতা, অভ্যাস ও দোষগুণগুলো বুঝুন। নিজের আচরণ বিয়ের পর সঙ্গীর ওপর কী প্রভাব ফেলতে পারে, তা ভেবে দেখুন। প্রয়োজনে নিজের ভেতরে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার চেষ্টা করুন।
সহযোগিতামূলক আচরণ
বিয়ে মানে শুধু ভালোবাসা নয়, এটি সহযোগিতার সম্পর্ক। সঙ্গীর পরিবার, বন্ধুবান্ধব ও সামাজিক সম্পর্কেও সহযোগিতামূলক হতে হবে। পরিবারে দায়িত্ব ভাগাভাগি করার মানসিকতা থাকলে তবেই দাম্পত্য সম্পর্ক মজবুত হয়।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
আলোকিত গৌড়/আ
মন্তব্য করুন: