প্রখর রোদ কিংবা অস্বস্তিকর গরমের ঝামেলা না থাকায় বাংলাদেশে বিয়ের জন্য শীতকাল বরাবরই সবচেয়ে পছন্দের মৌসুম। নভেম্বর থেকে জানুয়ারি—এই তিন মাসজুড়ে চলে বিয়ের হিড়িক। আবহাওয়ার স্বস্তির পাশাপাশি শীতকালে বিয়ে করার কিছু বাড়তি সুবিধা রয়েছে, যা পাত্রপক্ষ ও পাত্রীপক্ষ উভয়কেই স্বস্তি দেয়।
বিয়ে আয়োজক ও বিশেষজ্ঞদের মতে, শীতকালে বিয়ে করার পাঁচটি প্রধান কারণ নিচে তুলে ধরা হলো—
১. দীর্ঘ ছুটি ও পারিবারিক সুবিধা
বছরের শেষ প্রান্তে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও অফিস-আদালতে দীর্ঘ ছুটির সুযোগ মেলে। এই সময়টিকে কাজে লাগিয়ে পরিবার-পরিজন সবাই মিলে আনন্দঘন পরিবেশে বিয়ের আয়োজন করা যায়, যা গরমকালে করা কঠিন হয়ে পড়ে।
২. কম ভোগান্তি, বেশি আরাম
বিয়ের আয়োজন মানেই প্রচুর পরিশ্রম—সাজসজ্জা, অতিথি আপ্যায়ন ও বিভিন্ন কাজে দৌড়ঝাঁপ। গরমে এসব কাজ করতে গিয়ে হাঁপিয়ে উঠতে হয়, কিন্তু শীতকালে পরিশ্রম কম লাগে এবং সবাই আরামে থাকতে পারেন। তাছাড়া শীতে খাওয়া-দাওয়ার পরিবেশও অনেক স্বস্তিদায়ক।
৩. সাজ-সজ্জায় স্বস্তি ও স্থায়িত্ব
শীতকালে ঘাম না থাকায় কনের মেকআপ ও সাজসজ্জা দীর্ঘস্থায়ী হয়। গরমে মেকআপ গলে যাওয়া বা অস্বস্তি সৃষ্টির আশঙ্কা থাকে না। ফলে কনে ও অতিথি উভয়েই স্বস্তিতে থাকতে পারেন, যা অনুষ্ঠানের সৌন্দর্য বাড়িয়ে দেয়।
৪. প্রকৃতির সাথে সামঞ্জস্য ও ফুলের সমাহার
শীতকাল হলো ফুলের ঋতু। ডালিয়া, চন্দ্রমল্লিকা, গাঁদা, গোলাপ, রজনীগন্ধা, জুঁইসহ নানা টাটকা ফুল সহজেই পাওয়া যায়। ফলে বিয়ের মঞ্চ ও স্থান প্রাকৃতিক ফুলে সাজানো সম্ভব হয়, যা অনুষ্ঠানে আনে এক বিশেষ নান্দনিকতা।
৫. তুলনামূলক খরচ কম
শীতে ফ্যান বা এসি চালানোর প্রয়োজন হয় না বলে বিদ্যুৎ খরচ কমে। এছাড়া ফল ও ঠান্ডা পানীয়ের ব্যবহারও গরমকালের তুলনায় কম, যা আয়োজনে কিছুটা সাশ্রয় এনে দেয়।
সব মিলিয়ে, আরামদায়ক আবহাওয়া, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, সাজসজ্জার সুবিধা ও খরচে সাশ্রয়—সব মিলিয়ে শীতকাল বাংলাদেশের বিয়ের মৌসুম হিসেবে বারবারই প্রমাণ করেছে তার জনপ্রিয়তা।
আলোকিত গৌড়/আ
মন্তব্য করুন: