[email protected] সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫
৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

মানুষ শীতকালেই কেন বেশি বিয়ে করে?

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ১০ নভেম্বর ২০২৫, ২১:৪৮

ফাইল ছবি

শীতকাল এলেই শুরু হয় উৎসবের আমেজ, আর সেই উৎসবের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাজতে থাকে বিয়ের সানাই। বাংলাদেশে সাধারণত নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি সময়টাকেই বিয়ের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত ধরা হয়। আবহাওয়ার স্বস্তি থেকে শুরু করে নানা লজিস্টিক সুবিধা—সব মিলিয়ে শীতকাল বিয়ের মৌসুম হিসেবেই পরিচিত।

দেখে নেওয়া যাক কেন শীতকালই বিয়ের জন্য সবচেয়ে সুবিধাজনক সময়—

১. লম্বা ছুটি ও আত্মীয়-সমাগম:
ডিসেম্বরে স্কুল-কলেজের পরীক্ষা শেষে শুরু হয় দীর্ঘ ছুটি। কর্মজীবী থেকে শুরু করে শিক্ষার্থীরা পর্যন্ত কিছুটা অবসর পান। ফলে দেশের ভেতরে ও বাইরে থাকা আত্মীয়-পরিজনদের একই ছাদের নিচে পাওয়া যায়, যা অন্য সময়ে কঠিন।

২. কাজে ক্লান্তিহীন অংশগ্রহণ:
বিয়ের আয়োজন মানেই দাওয়াত, সাজসজ্জা, খাওয়াদাওয়া, আয়োজনে ব্যস্ততা। গরমে সামান্য পরিশ্রমেই ক্লান্তি আসে, কিন্তু শীতকালের স্বস্তিদায়ক আবহাওয়ায় সবাই প্রাণবন্তভাবে কাজ করতে পারেন।

৩. মেকআপে স্বস্তি:
গরমে ঘাম ও আর্দ্রতায় মেকআপ নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকে, কিন্তু শীতকালে এই ঝুঁকি নেই। বর-কনে ও অতিথিরা সহজে সাজগোজে আরাম পান, আর মেকআপও দীর্ঘক্ষণ টেকে।

৪. ভরপুর ভোজ ও খাদ্য সংরক্ষণে সুবিধা:
পোলাও, বিরিয়ানি, রোস্ট বা রেজালার মতো ভারী খাবার শীতকালে বেশি উপভোগ্য হয়। ঠান্ডা আবহাওয়ায় খাবার নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি কম থাকে। পিঠাপুলি ও ঐতিহ্যবাহী পদ যোগ হয়ে বিয়ের আয়োজনকে করে তোলে আরও মুখরোচক।

৫. ফুলসজ্জায় সহজলভ্যতা:
গোলাপ, গাঁদা, রজনীগন্ধা, অর্কিডসহ নানা ফুল শীতকালে সহজলভ্য হয় ও দামও তুলনামূলক কম। এতে ডেকোরেশন হয় আরও রঙিন ও সৌন্দর্যমণ্ডিত।

৬. ফলের ঝামেলা কম:
এই সময়ে মৌসুমি ফল কম থাকায় ফলের প্লেট সাজানোর বাড়তি ঝক্কি থাকে না। ফলে আয়োজন সহজ হয়, খরচও নিয়ন্ত্রণে থাকে।

৭. সময় ও খরচ সাশ্রয়:
শীতকালে দিনের আলো কম থাকায় অনুষ্ঠানগুলো সাধারণত দিনের মধ্যেই শেষ হয়। এতে সময় বাঁচে এবং অতিরিক্ত বিদ্যুৎ ও শ্রম খরচও কমে।

৮. বিদ্যুৎ বিলে সাশ্রয়:
শীতকালে ফ্যান বা এসির প্রয়োজন না থাকায় বিদ্যুৎ বিলও তুলনামূলক কম আসে। রাতের অনুষ্ঠান শেষে সবাই দ্রুত বিশ্রামে যান, ফলে খরচও কমে।

৯. মশার ঝামেলা নেই:
শীতকালে মশা কম থাকায় মশারি বা স্প্রের ঝামেলা থাকে না। অতিথি ও নবদম্পতি নিশ্চিন্তে রাত কাটাতে পারেন।

১০. জম্পেশ হানিমুন:
শীতকাল ঘোরাঘুরির আদর্শ সময়। নবদম্পতিরা এই সময়ে দেশি-বিদেশি পর্যটনকেন্দ্রে ভ্রমণ উপভোগ করতে পারেন, আর পর্যটন কোম্পানিগুলোও দেয় আকর্ষণীয় কাপল প্যাকেজ।

সব মিলিয়ে আয়োজনের স্বাচ্ছন্দ্য, অতিথি আপ্যায়ন, সাজসজ্জা ও রোমাঞ্চ—সব দিক থেকেই শীতকালই বিয়ের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত সময়।

আলোকিত গৌড়/আ

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর