মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর নেতা এটিএম আজহারুল ইসলাম সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে খালাস পেয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৭ মে) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
আপাতত বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (পিজি হাসপাতাল) হাসপাতালে কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। কারা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আপিলের রায়ের কাগজপত্র কারাগারে পৌঁছানোর পর তাকে হাসপাতাল থেকে মুক্তি দেওয়া হবে।
কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার এ কে এম মাসুম বলেন, “আজহারুল ইসলামের আপিল মঞ্জুরের কাগজ কারাগারে এলেই তাকে মুক্তি দেওয়া হবে।”
সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে এজলাসে উঠে রায় ঘোষণা শুরু করেন প্রধান বিচারপতি। রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার অনীক আর হক ও প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির, ব্যারিস্টার এহসান আবদুল্লাহ সিদ্দিক, ব্যারিস্টার ইমরান আবদুল্লাহ সিদ্দিক ও ব্যারিস্টার নাজিব মোমেন।
জামায়াত নেতাদের মধ্যে আদালতে উপস্থিত ছিলেন দলের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের, ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মাসুম, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খানসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতৃবৃন্দ।
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় রংপুর অঞ্চলে গণহত্যা, হত্যা, অপহরণ, ধর্ষণ, নির্যাতন, অগ্নিসংযোগসহ ৬টি মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত ছিলেন আজহারুল ইসলাম। ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তাকে তিনটি অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড এবং দুটি অভিযোগে দীর্ঘ মেয়াদি সাজা দেন।
২০১৯ সালের ৩১ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টের চার বিচারপতির বেঞ্চ মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন। এরপর ২০২০ সালে আপিল বিভাগের রায়ের বিরুদ্ধে পুনর্বিবেচনার আবেদন করেন আজহার। ২০২৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি আপিলের অনুমতি পান তিনি এবং আজ (২৭ মে) তার আপিল মঞ্জুর করে মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস দেন আদালত।
গত বছরের সেপ্টেম্বর মাস থেকে এটিএম আজহারুল ইসলাম পিজি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। রায়ের কপি কারাগারে পৌঁছানোর পর আনুষ্ঠানিকভাবে তার মুক্তির প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে বলে জানিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ।
আলোকিত গৌড়/আ
মন্তব্য করুন: