[email protected] রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫
২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

ফেরারি ও পলাতক আসামিরা নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না: ইসি

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:২২

ফাইল ছবি

আদালত কর্তৃক ফেরারি বা পলাতক আসামি হিসেবে ঘোষিত কোনো ব্যক্তি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না। একই সঙ্গে পদে বহাল থাকা সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার মেয়র এবং উপজেলা পরিষদ, জেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরাও নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। তবে নিজ নিজ পদ থেকে পদত্যাগ করলে তারা প্রার্থী হওয়ার সুযোগ পাবেন।

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জারি করা এক পরিপত্রে এসব নির্দেশনার কথা জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, প্রজাতন্ত্রের বা কোনো সংবিধিবদ্ধ সরকারি প্রতিষ্ঠানের লাভজনক পদে থাকা ব্যক্তিরাও পদত্যাগ ছাড়া নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।

পরিপত্রে আরও উল্লেখ করা হয়, একজন প্রার্থী সর্বোচ্চ তিনটি আসনে মনোনয়ন দিতে পারবেন। কেউ তিনটির বেশি আসনে মনোনয়ন দাখিল করলে তার সব মনোনয়নপত্র বাতিল বলে গণ্য হবে। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রার্থী নিজে অথবা তার প্রস্তাবক কিংবা সমর্থককে সশরীরে রিটার্নিং কর্মকর্তা বা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে মনোনয়নপত্র দাখিল করতে হবে।

ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ২৯ ডিসেম্বর। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই চলবে ৩০ ডিসেম্বর থেকে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত।

পরিপত্রে প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা ও অযোগ্যতার বিষয়গুলো বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। সংবিধানের ৬৬(১)(২) অনুচ্ছেদ ও জনপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) ১২(১) ধারা অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি বাংলাদেশের নাগরিক হলে এবং বয়স ২৫ বছর পূর্ণ হলে তিনি সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন। তবে আদালত কর্তৃক ফেরারি বা পলাতক ঘোষিত ব্যক্তিরা প্রার্থী হতে পারবেন না

এছাড়া যেসব ব্যক্তি প্রার্থী হওয়ার অযোগ্য, তাদের মধ্যে রয়েছেনআদালত কর্তৃক অপ্রকৃতিস্থ ঘোষিত ব্যক্তি, দেউলিয়া ঘোষিত হয়ে দায় থেকে অব্যাহতি না পাওয়া ব্যক্তি, বিদেশি নাগরিকত্ব গ্রহণকারী বা বিদেশি রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য স্বীকারকারী ব্যক্তি।

নৈতিক স্খলনজনিত ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে কমপক্ষে দুই বছর কারাদণ্ডপ্রাপ্ত এবং মুক্তির পর পাঁচ বছর পূর্ণ না হওয়া ব্যক্তিরাও প্রার্থী হতে পারবেন না। একইভাবে ১৯৭২ সালের বাংলাদেশ যোগসাজশকারী (বিশেষ ট্রাইব্যুনাল) আদেশের অধীনে দণ্ডিত ব্যক্তিরাও নির্বাচনে অংশ নিতে অযোগ্য হবেন।

পরিপত্রে আরও বলা হয়, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অবসর গ্রহণের পর তিন বছর পূর্ণ না হলে প্রার্থী হতে পারবেন না। দুর্নীতির কারণে প্রজাতন্ত্রের বা কোনো সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষের চাকরি থেকে বরখাস্ত, অপসারিত বা বাধ্যতামূলক অবসরপ্রাপ্ত হওয়ার পর পাঁচ বছর পার না হলেও প্রার্থী হওয়ার সুযোগ নেই

এ ছাড়া ঋণখেলাপি ব্যক্তি এবং টেলিফোন, গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি সহ সরকারের বিভিন্ন সেবার বিল খেলাপিরাও জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না।

আলোকিত গৌড়/আ

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর