শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে রাজধানীর মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণ করেছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। শোক ও শ্রদ্ধার মধ্য দিয়ে আজ রোববার দিবসটি পালিত হচ্ছে।
সকাল ৭টার দিকে প্রথমে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে তিনি কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থেকে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মৃতির প্রতি গভীর সম্মান জানান।
এরপর সকাল সোয়া ৭টার কিছু পর প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানান। এ সময় সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল তাঁকে রাষ্ট্রীয় সালাম জানায়। শ্রদ্ধা নিবেদন অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধা, অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা এবং সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। একে একে উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরাও শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ নতুন বাংলাদেশ নির্মাণ করবে।
এরপর বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, পেশাজীবী সংগঠনসহ সর্বস্তরের মানুষ শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে এসে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণের মাত্র দুই দিন আগে, রাতের আঁধারে ঘাতক চক্র ঢাকা শহরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পরিকল্পিতভাবে বুদ্ধিজীবী হত্যাযজ্ঞ চালায়। সান্ধ্য আইন চলাকালে শিক্ষক, সাংবাদিক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, আইনজীবী, শিল্পী-সাহিত্যিক, সংস্কৃতিসেবী ও সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে গিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।
পরদিন সকালে ঢাকার মিরপুর ও রায়েরবাজারের ডোবা-নালা ও ইটখোলায় বিক্ষিপ্তভাবে পড়ে থাকতে দেখা যায় তাঁদের নিথর দেহ। অনেকের শরীর ছিল বুলেটবিদ্ধ, কেউ কেউ অমানুষিক নির্যাতনে ক্ষতবিক্ষত হন। হাত পেছনে বেঁধে বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করা হয় বহু বুদ্ধিজীবীকে।
প্রতিবছর ১৪ ডিসেম্বর শোকের আবহে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত হয়। এদিন দেশের সর্বত্র জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয় এবং শোকের প্রতীক হিসেবে কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়।
আলোকিত গৌড়/আ
মন্তব্য করুন: