[email protected] শুক্রবার, ৯ মে ২০২৫
২৫ বৈশাখ ১৪৩২

আবারও রাজশাহী কলেজে ছাত্রদল ও শিবিরের কাছে ধরা পড়লো ছাত্রলীগ কর্মী

মো: ইয়াজ উদ্দীন আহম্মেদ

প্রকাশিত: ৮ মে ২০২৫, ১৫:২০

ছবি: আলোকিত গৌড়

রাজশাহী কলেজে ক্লাস করতে এসে নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের এক কর্মীকে আটকের পর পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৮ মে) বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে কলেজ শাখা ছাত্রদল ও শিবিরের নেতৃবৃন্দরা তাঁকে আটকের পর বোয়ালিয়া মডেল থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।

জানা গেছে, ছাত্রলীগের ওই কর্মীর নাম মোঃ সাগর রেজা (২২)। তিনি রাজশাহী কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। তাঁর বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তাপুর থানার উদয় সাগর গ্রামের মোঃ আলমগীরের ছেলে। গত ৫ আগস্ট সরকারের পতনের আগে তিনি কলেজের মুসলিম ছাত্রাবাসের (E-ব্লকের) আবাসিক শিক্ষার্থী ছিলেন।

তথ্যমতে, আজ বৃহস্পতিবার কলেজে ক্লাস করতে আসে। এ সময় ছাত্রদল ও শিবির কর্মীরা তাঁকে চিনতে পেরে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। জিজ্ঞাসাবাদের সময় তার ফোনের ফেসবুকে বিভিন্ন উস্কানিমূলক পোস্ট দেখে যায়। ছবিগুলোতে দেখা যায়, আওয়ামী লীগ সরকারের শাসন আমলে আওয়ামী লীগ ও কলেজ ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের বিভিন্ন কর্মসূচিতে তার সক্রিয় অংশগ্রহণ রয়েছে এবং ছাত্রলীগের মিছিলগুলোতে তাকে সামনের কাতারে অবস্থান করতে দেখা গেছে। এছাড়াও অভিযোগ রয়েছে রাজশাহী কলেজে ১৬ তারিখের শিক্ষার্থীদের উপর ছাত্রলীগের হামলার দিনেও তার সম্পৃক্ততা রয়েছে।

উল্লেখ্য সহ সভাপতি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ রহনপুর পৌর শাখা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাংলাদেশ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি লীগ চাঁপাই-নবাগঞ্জ, সাংগঠনিক সম্পাদক মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ গোমস্তপুর উপজেলা শাখা, সাংগঠনিক সম্পাদক বঙ্গবন্ধু ছাত্র পরিষদ গোমস্তপুর উপজেলা শাখাসহ বিভিন্ন পদবীর ট্যাগ তার ফেসবুক প্রোফাইলে এখনো যুক্ত রয়েছে।

এ বিষয়ে রাজশাহী কলেজ শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক খালিদ বিন ওয়ালিদ (আবির) বলেন, আজ রাজশাহী কলেজ ক্যাম্পাসে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের একনিষ্ঠ কর্মী কলেজে ক্লাস করার জন্য ক্লাসে উপস্থিত হয়। পরবর্তীতে কলেজ ছাত্রদল ও শিবিরের নেতা-কর্মীরা তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।

রাজশাহী কলেজ শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মাহমুদুল হাসান বলেন, নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রাসিক দত্ত ও আশিকে ছায়া তলে তিনি রাজশাহী কলেজ মুসলিম ছাত্রাবাসের সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর অত্যাচার নিপীড় নির্যাতন চালাতো। কলেজে সাধারন শিক্ষার্থীদের বিভিন্নভাবে মারধর করতো। আমরা তাকে চিনতে পেরে তাকে সাধারণ শিক্ষার্থী মারধরের হাত থেকে বাঁচিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছি।

এ বিষয়ে বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাক আহম্মেদ কে ফোন করা হলে তিনি জানান, তাকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে এখনো আমার কাছে এসে পৌঁছায়নি। আসলে যাচাই করে দেখবো। নতুন করে তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা করা হয়নি। পূর্বের একটি মামলা চলমান রয়েছে, সেই মামলায় তাকে চালান করে দেওয়া হবে।

আলোকিত গৌড়/এম.এইচ.টি

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর