দীর্ঘ ১২ বছর পর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামি নির্বাচন কমিশনে (ইসি) তাদের আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দিয়েছে। ২০২৪ পঞ্জিকা বছরে দলটির মোট আয় হয়েছে ২৮ কোটি ৯৭ লাখ ২৯৯ টাকা এবং ব্যয় হয়েছে ২৩ কোটি ৭৩ লাখ ৩৮ হাজার ১৭৭ টাকা।
নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হিসাব বিবরণীতে দলের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার স্বাক্ষর করেছেন।
২০১৩ সালে নিবন্ধন বাতিল হওয়ার পর এটি জামায়াতের প্রথম হিসাব দাখিল। চলতি বছর দলটি পুনরায় নিবন্ধন ফিরে পাওয়ার পর হিসাব দাখিল করে।
ইসিতে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে জামায়াতের আয় বিএনপির তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ এবং ব্যয় পাঁচ গুণ বেশি। গত ২৭ জুলাই বিএনপি যে হিসাব জমা দিয়েছে, তাতে দেখা যায় দলটির আয় হয়েছে ১৫ কোটি ৬৫ লাখ ৯৪ হাজার ৮৪২ টাকা এবং ব্যয় হয়েছে ৪ কোটি ৮০ লাখ ৪ হাজার ৮২৩ টাকা।
জামায়াত জানিয়েছে, তাদের আয় মূলত এসেছে সদস্য ও কর্মীদের চাঁদা, বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংস্থার অনুদান এবং বই-পুস্তক বিক্রি থেকে। কর্মী ও সদস্যদের চাঁদা থেকে এসেছে ১৬ কোটি ৫৬ লাখ টাকার বেশি, বিভিন্ন উৎস থেকে অনুদান এসেছে প্রায় ১২ কোটি টাকা।
অন্যদিকে ব্যয়ের বড় অংশ গেছে কর্মীদের বেতন, প্রশাসনিক ব্যয়, পরিবহন ও প্রচারণা খাতে। শুধু প্রার্থীদের অনুদান হিসেবেই ব্যয় হয়েছে ১১ কোটি টাকার বেশি।
জানানো হয়েছে, দলটির বর্তমানে কোনো ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নেই। সব অর্থ লেনদেন নগদে পরিচালিত হয়েছে।
নিবন্ধন ফিরে পাওয়ার পর এক যুগ পর দলটি নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দিল। বিশ্লেষকদের মতে, এটি দলটির নিয়মতান্ত্রিক রাজনৈতিক ধারায় ফেরার একটি বড় পদক্ষেপ।
আলোকিত গৌড়/আ
মন্তব্য করুন: