[email protected] বুধবার, ১৪ মে ২০২৫
৩১ বৈশাখ ১৪৩২

হত্যা মামলার ৮ মাসেও দৌরাত্ম থামছে না আসামিদের নেপথ্যে কী?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১২ মে ২০২৫, ২২:১৫
আপডেট: ১২ মে ২০২৫ ২২:০৫

ছবিঃ আলোকিত গৌড়

নিজ চাচাকে খুন করা মামলায় জামিন পেয়ে আবারও পেশি শক্তির জোর খাটাতে ঘটনাস্থলে দুইটি ধান মাড়াই করা মেশিন আটক করা থাকলেও রাতের আঁধারে সরিয়ে নেয় অভিযুক্তরা।

ঘটনাটি ঘটেছিল চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলার দলদলী ইউনিয়নের নামো মুশরীভুজা গ্রামে ১৪ সেপ্টেম্বর -২০২৪ তারিখ প্রায় দুপুর ১ টা ৩০ মিনিটে। জমিজমা সংক্রান্তের জেরে আপন ছোট চাচাকে হত্যা করে ভাতিজা ইউসুফ।

মামলার এজাহারে মাইনুল ইসলামসহ(৫৩) তার ছেলে ইউসুফ আলী(২৭), ইসাহাক আলী(২১) ও তার স্ত্রী গিনি বেগম(৪৮) এবং বহিরাগত শাজাহানকে আসামী করা হয়। হুকুমদাতা হিসেবে এজাহারে শাজাহানের নাম উল্লেখ করা হয়। ১নং আসামী ইউসুফ তার আপন চাচা মতিউর রহমানকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথায় কোপ দিলে চিকিৎসার চলার একপর্যায়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু বরণ করে।

জানা যায়, এক কাঠা জমি নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিলো দীর্ঘদিন ধরে। আসামী পক্ষ একরোখা উগ্রতা সভাব চরিত্রের অধিকারী ও আওয়ামীলীগ সমর্থিত হওয়ায় এমন ঘটনা ঘটেছে।

প্রধান আসামী ইউসুফ জামিন না পেলেও অন্যরা জামিন পেয়ে এমন দুঃসাহসিক ঘটনা ঘটাচ্ছে।মামলার দুই নম্বর আসামী ইসাহাকের কাছে মেশিন সরানোর বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, রাত ১১ টার দিকে আমাদের মেশিন নিয়ে চলে এসেছি। অত্র ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক চুটু বলেন, তাদের জীবীকার বিষয়টা চিন্তা ভাবনা করে আমরা একটা লিখিত নিয়ে মেশিন দিয়ে দিয়েছি।

ঘটনায় মৃত মতিউর রহমান এর স্ত্রী তিন সন্তানের জননী ফাতেমা বলেন, আমরা বাড়ির বাইরে বাইরে থাকি, বছরে একবার আসতাম তারপরও আমার নির্দোষ স্বামীকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। আমি তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।

মামলার সার্বিক বিষয়ে এসআই(নিরস্ত্র) রামজীবন ভৌমিক এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মেডিকেলের রিপোর্ট আসতে দেরি হওয়ার জন্য চার্জশিট বিলম্ব হচ্ছে।

আলোকিত গৌড়/এম.আর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর