[email protected] বুধবার, ১৪ মে ২০২৫
৩১ বৈশাখ ১৪৩২

গণমাধ্যমকে সংবিধানে রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ করার দাবি সাংবাদিকদের

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ৮ মে ২০২৫, ২৩:১৮

গণমাধ্যমকে সংবিধানে রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ করার দাবি সাংবাদিকদের (ছবি- সংগৃহীত)

বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে আজ ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে "গণমাধ্যম সংস্কার: সমস্যা ও করণীয়" শীর্ষক একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে গণমাধ্যমকে রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করার, তথ্য জানার অধিকারকে মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার এবং প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন গণমাধ্যমের জন্য অভিন্ন বেতন কাঠামো প্রণয়নের দাবি জানানো হয়।

সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দৈনিক "আমার দেশ" এর সম্পাদক মাহমুদুর রহমান। সভাপতিত্ব করেন ডিআরইউ সহ-সভাপতি গাজী আনোয়ার এবং সঞ্চালনায় ছিলেন ডিআরইউ সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সদস্য ও "ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস" এর সম্পাদক শামসুল হক জাহিদ, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম আব্দুল্লাহ, এবং ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শহিদুল ইসলাম।

সেমিনারে আলোচকরা বলেন, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত না হলে গণতন্ত্র কখনোই শক্তিশালী হতে পারে না। তারা একযোগভাবে গণমাধ্যমে স্বাধীনতা, সঠিক বেতন কাঠামো এবং সাংবাদিকদের কর্মপরিবেশের উন্নয়নের জন্য কাজ করতে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

প্রধান অতিথি মাহমুদুর রহমান বলেন, গত ১৫ বছরে বিচার বিভাগ, পুলিশ এবং সংবাদপত্র সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিনি আরও বলেন, “সাংবাদিকদের স্বাধীনতা সংকুচিত হয়েছে এবং সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা ফিরিয়ে আনতে আমাদের নিজেকেই এগিয়ে আসতে হবে।”

শামসুল হক জাহিদ বলেন, স্বাধীনতার পরেও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা পুরোপুরি প্রতিষ্ঠিত হয়নি। আর্থিক স্বাধীনতা এবং কাজের পরিবেশের উন্নয়ন প্রয়োজন।

এম আব্দুল্লাহ বলেন, "বর্তমানে সাংবাদিকরা কিছুটা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারলেও সেই পরিবেশ টিকিয়ে রাখতে হলে নিয়মতান্ত্রিক পরিবর্তন আনা উচিত।"

ডিআরইউ সভাপতি শহিদুল ইসলাম বলেন, সাংবাদিকদের তথ্য জানার অধিকার পূর্ণ ও নিরাপদ রাখতে হবে এবং ভবিষ্যতে যেন কোনো সাংবাদিক মামলা বা হুমকির শিকার না হন সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ডিআরইউ’র সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল হাই তুহিন, সাংস্কৃতিক সম্পাদক এমদাদুল হক খান, তথ্যপ্রযুক্তি সম্পাদক মো. বোরহান উদ্দীন, কল্যাণ সম্পাদক রফিক মৃধা এবং অন্যান্য নির্বাহী সদস্যরা।

আলোকিত গৌড়/আ

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর