[email protected] সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫
২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

মুসলমানদের পারস্পরিক সহযোগিতা ও ভ্রাতৃত্ববোধের ওপর কোরআন–সুন্নাহর নির্দেশ

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:২৯

ফাইল ছবি

মুসলমানরা পরস্পরের ভাই—এই ঘোষণা ইসলামের ভ্রাতৃত্বের বন্ধনকে দৃঢ় করে। বাহ্যিকভাবে বর্ণ, গোত্র, ভাষা, পেশা বা অঞ্চলে ভিন্নতা থাকলেও ঈমান ও ইসলামী আদর্শের ভিত্তিতে সব মুসলমান এক জাতি। মহান আল্লাহকে একমাত্র উপাস্য মানা এবং শেষ নবী মুহাম্মদ (সা.)–কে আল্লাহর বান্দা ও রাসুল হিসেবে বিশ্বাস করাই তাদের ঐক্যের মূল ভিত্তি।

ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ ইবাদতগুলোও মুসলমানদের ঐক্যকে আরও সুদৃঢ় করে। নামাজে এক কিবলার অনুসরণ, একই মাসে রোজা রাখা এবং একই স্থান ও সময়ে হজ পালন—এসবই মুসলমানদের একতার বহিঃপ্রকাশ। এ প্রসঙ্গে নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘মুমিনদের উদাহরণ পারস্পরিক ভালোবাসা, দয়া ও সহানুভূতির দিক থেকে একটি দেহের মতো; দেহের একটি অঙ্গ আক্রান্ত হলে পুরো দেহই অস্থির হয়ে পড়ে।’ (মুসলিম, হাদিস ৬৪৮০)

পবিত্র কোরআনে মুসলমানদের সৎকর্ম ও তাকওয়ার কাজে একে অপরকে সহযোগিতা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মহান আল্লাহ বলেন, ‘সৎকর্ম ও তাকওয়ায় পরস্পর সহযোগিতা করো, আর মন্দকর্ম ও সীমালঙ্ঘনে সহযোগিতা কোরো না।’ (সুরা মায়িদা, আয়াত ২)

নবীজি (সা.) বলেন, ‘যে সৎকাজের পথে পথপ্রদর্শন করে, সে সেই কাজকারী ব্যক্তির সমান সওয়াব পায়।’ (তিরমিজি, হাদিস ২৬৭০)

মানুষের কষ্ট লাঘব করা ইসলামে অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ কাজ। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো মুমিনের দুনিয়ার কষ্ট দূর করে, আল্লাহ তার আখিরাতের একটি কষ্ট দূর করবেন।’ (তিরমিজি, হাদিস ১৪২৫)

এছাড়া তিনি আরও বলেন, ‘এক মুসলিম অপর মুসলিমের ভাই। সে তার ওপর নির্যাতন করবে না, অসহায় অবস্থায় তাকে ছেড়ে দেবে না। যে তার ভাইয়ের প্রয়োজন মেটাবে, আল্লাহ তার প্রয়োজন মেটাবেন। যে মুসলিমের দোষ গোপন রাখবে, কিয়ামতে আল্লাহ তার দোষ গোপন রাখবেন।’ (আবু দাউদ, হাদিস ৪৮৯৩)

ইসলাম মুসলমানদের পরস্পরের প্রতি দয়া, সহযোগিতা, সহানুভূতি ও দায়িত্ববোধ শেখায়। অন্যের উপকারে এগিয়ে গেলে আল্লাহও সেই ব্যক্তির সাহায্যে থাকেন।

মহান আল্লাহ মুসলমানদের তাকওয়া ও নেকির কাজে একে অপরের সহযোগী হওয়ার তাওফিক দিন—আমিন।

আলোকিত গৌড়/আ

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর