[email protected] সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫
৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

ইস্তিগফার—ক্ষমা, শান্তি ও বরকতের দরজা খুলে দেয় যে ইবাদত

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:৩৭

ফাইল ছবি

ইস্তিগফার বা আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা—মুসলমানের জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আমল। ‘গাফারা’ শব্দ থেকে ইস্তিগফার এসেছে, যার অর্থ ঢেকে দেওয়া বা লুকিয়ে রাখা। অর্থাৎ আল্লাহ যখন বান্দার পাপ ঢেকে দেন, তখনই তিনি তাকে ক্ষমা করেন।

ইসলামের যে কোনো স্তরের মানুষ—ধার্মিক হোক বা সাধারণ—সবাই আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনার প্রয়োজন অনুভব করে। এমনকি প্রিয় নবী মুহাম্মদ (সা.)-ও প্রতিদিন বহুবার আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতেন। সহিহ হাদিসে এসেছে—তিনি প্রতিদিন ৭০ বারেরও বেশি ইস্তিগফার করতেন।

ইস্তিগফারের সুফল
সুরা নুহে আল্লাহ তাআলা ইস্তিগফারকারীদের জন্য বরকত, রিজিক, সন্তান, বাগান ও শান্তির সুসংবাদ দিয়েছেন। শুধু পাপ মোচন নয়—জীবনের সুখ-সমৃদ্ধির পথও খুলে যায় ইস্তিগফারের মাধ্যমে।

পাপ মোচন ও আত্মশুদ্ধি
মুসলমান যখন কোনো পাপ করে আন্তরিকভাবে ক্ষমা চায়, আল্লাহ তাঁর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সেই পাপ মুছে দেন। সুরা নিসায় বলা হয়েছে—যে মন্দ কাজ করে পরে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চায়, আল্লাহ তাকে ক্ষমা করেন।

ক্ষমা প্রার্থনাকারীদের প্রতি আল্লাহর ভালোবাসা
সুরা বাকারায় আল্লাহ ঘোষণা করেছেন—তিনি তাওবাকারী ও পবিত্রতা রক্ষাকারীদের ভালোবাসেন। এমনকি ক্ষমা প্রার্থনাকারী বান্দাদের নিয়ে আল্লাহ ফেরেশতাদের সামনে গর্ব করেন।

শাস্তি থেকে মুক্তির পথ
ইস্তিগফার আল্লাহর শাস্তি ও কবরের আজাব থেকে রক্ষা পাওয়ার এক নিরাপদ উপায়। সুরা আনফালে আল্লাহ বলেছেন—ক্ষমা প্রার্থনা করতে থাকলে আল্লাহ তাদের শাস্তি দেবেন না।

দুশ্চিন্তা ও কষ্ট দূর করার পথ
হাদিসে আছে—যে নিয়মিত ইস্তিগফার করে, আল্লাহ তাকে দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি দেন, সংকট থেকে বের হওয়ার পথ তৈরি করেন এবং অপ্রত্যাশিত জায়গা থেকে রিজিক দেন।

ইস্তিগফার তাই শুধু ক্ষমা নয়—বরং হৃদয়ের শান্তি, জীবনের স্বস্তি ও দোয়া কবুল হওয়ার দরজা খুলে দেয়।

আলোকিত গৌড়/আ

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর