১৫০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে স্বপ্নের মতো সূচনা করেছিল বাংলাদেশ। ওপেনিং জুটি তোলে ১০৯ রান, জয় তখন নিশ্চিতই মনে হচ্ছিল। কিন্তু সেখানেই ঘটে অ্যান্টি ক্লাইম্যাক্স—মাত্র ৯ রানের ব্যবধানে ৬ উইকেট হারায় টাইগাররা। সবকটা রিভিউও ফসকে যায় হাত থেকে।
শেষ পর্যন্ত অবশ্য নুরুল হাসান সোহান ও রিশাদ হোসেনের জুটিতে ৪ উইকেট হাতে রেখেই জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ।
১২তম ওভারের চতুর্থ বলে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এরপর ১৬তম ওভারের চতুর্থ বলেই ষষ্ঠ ব্যাটার সাজঘরে ফেরেন। এই ২৫ বলে দল যোগ করে মাত্র ৯ রান। ফলে যেখানে প্রয়োজন ছিল ৫১ বলে ৪৩ রান, তা নেমে আসে ২৪ বলে ৩৪ রানে।
ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণ মঞ্চে বাংলাদেশ অধিনায়ক জাকের আলি অনিক বলেন,
“না! (চাপে ছিলাম না) আমি ড্রেসিং রুমে স্বাভাবিকভাবেই বসে ছিলাম। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এমন ব্যাটিং ধস হতেই পারে। তারাও ভালো দল। তাই এমন হতেই পারে। তবে ছেলেদের প্রচেষ্টায় আমি খুশি।”
তবে পরে তিনি স্বীকার করেন, দ্রুত উইকেট হারানোয় কিছুটা চাপে পড়েছিলেন। তিনি বলেন, “আমরা ভালো শুরু করেছিলাম। তাই তখন কিছুটা দুর্ভাবনা এসেছিল। তবে ক্রিকেট এমনই মজার খেলা। তারা শক্তভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল। তবে জয়-পরাজয়ই মূল—আমরা জিতেছি, তাই এটি ভালো।”
অধিনায়ক আরও যোগ করেন, “অবশ্যই ব্যাটিং-বোলিংয়ে আমাদের উন্নতির জায়গা আছে। আমরা নিজেদের মধ্যে কথা বলে আরও ভালোভাবে নামব আগামীকাল।”
এর আগে বল হাতে শেষ দিকে তালগোল পাকায় বাংলাদেশ। ১৬ ওভারে আফগানিস্তানের সংগ্রহ ছিল ৬ উইকেটে ১০০ রান। সেখান থেকে মোহাম্মদ নবীর আক্রমণে শেষ ৪ ওভারে যোগ হয় আরও ৫১ রান।
এ প্রসঙ্গে জাকের বলেন, “ম্যাচের শুরুতে বোলাররা দারুণ করেছে। তবে ডেথ ওভারে কিছু বাড়তি রান দিয়েছি। এজন্যই বললাম, আমাদের উন্নতির জায়গা আছে।”
নাটকীয়তা সত্ত্বেও শেষ পর্যন্ত জয় তুলে নিয়ে সিরিজে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ।
আলোকিত গৌড়/আ
মন্তব্য করুন: