[email protected] মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫
৮ পৌষ ১৪৩২

প্রতিদিন ১০ হাজার কদম হাঁটার অভ্যাস গড়বেন যেভাবে

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:৩৮

ফাইল ছবি

সুস্থ থাকার জন্য নিয়মিত হাঁটার গুরুত্ব নতুন করে বলার কিছু নেই। হাঁটা এমন একটি সহজ ব্যায়াম, যা যেকোনো বয়সের মানুষই করতে পারেন। সাধারণভাবে প্রতিদিন ১০ হাজার কদম হাঁটাকে স্বাস্থ্যকর জীবনের একটি আদর্শ লক্ষ্য হিসেবে ধরা হয়। তবে কর্মব্যস্ত জীবনে অনেকের পক্ষেই প্রতিদিন এত কদম হাঁটা সম্ভব হয়ে ওঠে না।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ১০ হাজার কদম মানে গড়ে প্রায় ৫ মাইল হাঁটা। যদিও ব্যক্তির উচ্চতা, হাঁটার গতি ও পায়ের দৈর্ঘ্যের ওপর এই দূরত্ব কমবেশি হতে পারে। এ কারণেই অনেকেই বড় এই সংখ্যার কথা ভেবে হাঁটা শুরু করতেই অনীহা বোধ করেন।

সম্প্রতি এক গবেষণায় উঠে এসেছে, প্রতিদিন মাত্র কয়েক মিনিট সিঁড়ি বেয়ে ওঠাও ১০ হাজার কদম হাঁটার কাছাকাছি উপকার দিতে পারে। অর্থাৎ, পুরো লক্ষ্য একবারে না পূরণ করলেও ছোট ছোট অভ্যাসে ভাগ করে নিলেই মিলতে পারে কাঙ্ক্ষিত সুফল।

কেন গুরুত্বপূর্ণ ১০ হাজার কদম

পেডোমিটার বা ফিটনেস ট্র্যাকার ব্যবহারকারীদের কাছে ১০ হাজার কদমকে অনেক সময় ‘ম্যাজিক নম্বর’ বলা হয়। যদিও এর পেছনে নির্দিষ্ট কোনো বৈজ্ঞানিক সীমা নেই। তবে যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল ওবেসিটি ফোরামের তথ্য অনুযায়ী, যারা প্রতিদিন ৭ থেকে ১০ হাজার কদম হাঁটেন, তাদের শারীরিকভাবে ‘সম্পূর্ণ সক্রিয়’ হিসেবে ধরা হয়।

এছাড়া স্বাস্থ্যবিষয়ক বেস্টসেলার বই ম্যানপো-কেই: দ্য আর্ট অ্যান্ড সায়েন্স অব স্টেপ কাউন্টিং-এর লেখক ক্যাটেরিন টিউডর লক মনে করেন, একজন সুস্থ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের জন্য প্রতিদিন ১০ হাজার কদম হাঁটার লক্ষ্য অযৌক্তিক নয়।

কীভাবে ধীরে ধীরে পূরণ করবেন লক্ষ্য

যারা দীর্ঘ সময় বসে কাজ করেন, তাদের জন্য একদিনে ১০ হাজার কদম হাঁটা কঠিন মনে হওয়াই স্বাভাবিক। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ধাপে ধাপে এগোলেই এই লক্ষ্য অর্জন সম্ভব

বর্তমানে স্মার্টফোনে থাকা বিভিন্ন ফিটনেস অ্যাপ দিন শেষে হাঁটার হিসাব জানিয়ে দেয়। শুরুতে নিজের দৈনিক কদমের সংখ্যা দেখে প্রতিদিন এক হাজার কদম বাড়ানোর চেষ্টা করতে পারেন। দুই সপ্তাহ পর আবার আরও এক হাজার কদম যোগ করলে ধীরে ধীরে লক্ষ্যে পৌঁছানো সহজ হবে।

১০ হাজার কদম পূরণের সহজ উপায়

মন খুলে নাচুন: পছন্দের গানের তালে নাচ শরীর ও মনদুটোর জন্যই উপকারী।

হালকা খেলাধুলা করুন: পরিবার বা বন্ধুদের সঙ্গে খেলাধুলা করলে হাঁটাও বাড়বে।

বাড়ির কাজ করুন: ঝাড়ু, মোপিং বা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজেও ভালো ব্যায়াম হয়।

হাঁটতে হাঁটতে কথা বলুন: ফোনে কথা বলার সময় হাঁটার অভ্যাস গড়ে তুলুন।

ওয়ার্ক ফ্রম হোমে সক্রিয় থাকুন: বারবার উঠে পানি পান বা ছোটখাটো কাজ করুন।

নিজে বাজার করুন: অনলাইন ডেলিভারির বদলে বাজারে গিয়ে কেনাকাটা করুন।

অফিস যাওয়ার পথে হাঁটুন: কিছুটা আগেই যানবাহন থেকে নেমে হেঁটে অফিসে ঢুকুন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিয়মিত হাঁটা শুধু শারীরিক সুস্থতা নয়, মানসিক প্রশান্তিও এনে দেয়। তাই ১০ হাজার কদমের লক্ষ্য ভয় না পেয়ে নিজের মতো করে শুরু করলেই সুস্থ জীবনের পথে এগোনো সম্ভব।

 

সূত্র: হেলথ শটস

আলোকিত গৌড়/আ

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর