দিনের শুরু হোক পুষ্টিকর খাবার দিয়ে— বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নাস্তায় ডিম খাওয়া শরীর ও মস্তিষ্ক দুটোকেই রাখে সুস্থ ও কর্মক্ষম
দিনের শুরুটা যদি হয় পুষ্টিকর খাবার দিয়ে, তাহলে সারাদিনের কর্মশক্তিও থাকে ভরপুর। আর সকালে ডিম খাওয়া সেই পুষ্টিকর অভ্যাসগুলোর অন্যতম।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ডিম হলো প্রোটিন, ভিটামিন ও খনিজে ভরপুর একটি ‘সুপারফুড’। নিয়মিত নাস্তায় ডিম রাখলে শরীর যেমন শক্তিশালী হয়, তেমনি মস্তিষ্কও থাকে সতেজ ও মনোযোগী।
চলুন জেনে নেওয়া যাক সকালে ডিম খাওয়ার পাঁচটি উপকারিতা—
১. দীর্ঘ সময় পেট ভরা রাখে
ডিমে থাকা উচ্চমানের প্রোটিন শরীরে ধীরে হজম হয়। ফলে সকালে ডিম খেলে দীর্ঘ সময় ক্ষুধা লাগে না। এটি ওজন নিয়ন্ত্রণেও সহায়তা করে।
২. শক্তি জোগায় সারাদিন
একটি ডিমে থাকে পর্যাপ্ত ক্যালরি ও ভিটামিন বি১২, যা শরীরে শক্তি উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাই সকালে ডিম খেলে সারাদিন ক্লান্তি কম অনুভূত হয় এবং শরীর থাকে কর্মক্ষম।
৩. মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ায়
ডিমে আছে ‘কোলিন’ নামক উপাদান, যা স্মৃতিশক্তি ও মনোযোগ বৃদ্ধি করে। নিয়মিত ডিম খাওয়ার অভ্যাস মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা ও স্নায়ুতন্ত্রের সুস্থতায় সহায়তা করে।
৪. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
ডিমে থাকা ভিটামিন এ, ডি ও জিঙ্ক শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। নিয়মিত ডিম খেলে সর্দি-কাশি বা সাধারণ সংক্রমণ থেকে শরীর থাকে সুরক্ষিত।
৫. ত্বক ও চুলে আনে উজ্জ্বলতা
ডিমের প্রোটিন ও বায়োটিন ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্য রক্ষায় কার্যকর ভূমিকা রাখে। এতে ত্বক থাকে কোমল, দীপ্তিময় এবং চুল হয় মজবুত ও ঘন।
পুষ্টিবিদরা বলেন, সকালের নাস্তায় একটি বা দুটি সেদ্ধ বা পোচ করা ডিম শরীরের জন্য সবচেয়ে উপযোগী। তবে ভাজার সময় অতিরিক্ত তেল ব্যবহার না করার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
সকালে ডিম খাওয়া শুধু শরীরের শক্তি নয়, মানসিক সতেজতাও বজায় রাখে। তাই দিন শুরু হোক এক প্লেট পুষ্টিকর নাস্তা আর একটি ডিম দিয়ে— সুস্বাস্থ্য ও উদ্যমের প্রতিশ্রুতি নিয়ে।
আলোকিত গৌড়/আ
মন্তব্য করুন: