দিনভর কাজের পর ক্লান্তি আর মাথার অস্থিরতা যেন ঘিরে ধরে শরীর-মনে। এমন সময় ঘরে ফিরে যদি হালকা আলো জ্বলে, বাতাসে ভেসে আসে মিষ্টি কোনো গন্ধ, আর পাশে বাজে নরম সুর— মুহূর্তেই যেন মনটা হালকা হয়ে যায়। এই অনুভূতিই আসলে অ্যারোমাথেরাপি, অর্থাৎ সুগন্ধির মাধ্যমে মনের যত্ন নেওয়া।
গবেষণায় দেখা গেছে, ঘ্রাণ আমাদের মস্তিষ্কের এমন এক জায়গায় প্রভাব ফেলে যা আবেগ ও স্মৃতির সঙ্গে সম্পর্কিত। তাই কোনো গন্ধ আমাদের মনে পুরনো স্মৃতি জাগিয়ে তোলে। যেমন, হাস্নাহেনার গন্ধ পেলেই হয়তো ফিরে যাওয়া যায় শৈশবের সেই গরমের ছুটিতে, যখন উঠানে বসে দাদি গল্প শুনাতেন আর বাতাসে ভেসে আসত ফুলের গন্ধ।
এই স্মৃতিগুলো আমাদের মনে প্রশান্তি আনে। তাই সুগন্ধি মোমবাতি ব্যবহার করে ঘরেই সহজে মন ভালো রাখা যায়। ল্যাভেন্ডার, জেসমিন, ভ্যানিলা বা সাইট্রাসের মতো গন্ধ মস্তিষ্কে প্রশান্তি এনে দেয়, ক্লান্তি ও উদ্বেগ কমায়, মনোযোগ বাড়ায় এবং ঘুম ভালো করতে সাহায্য করে।
অ্যারোমাথেরাপি করতে বিশেষ কিছু লাগে না। ঘরের আলো মৃদু করে দিন, পছন্দের সুগন্ধি মোমবাতি জ্বালান, আর হালকা সুরের গান চালান। কয়েক মিনিটের মধ্যেই দেখবেন মনের ভার কমে এসেছে। রাতে ঘুমানোর আগে এমন পরিবেশ তৈরি করলে শরীর ও মন দুটোই বিশ্রামের জন্য প্রস্তুত হয়।
তবে মোমবাতি সবসময় নিরাপদ জায়গায় রাখতে হবে, শিশু বা পোষা প্রাণীর নাগালের বাইরে। ঘর বন্ধ থাকলে বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা রাখাও জরুরি।
একটু গন্ধ, একটু আলো আর কয়েক মিনিটের নীরবতা— এই তিনটি জিনিসই পারে সারাদিনের ক্লান্ত মনকে শান্ত করে দিতে।
আলোকিত গৌড়/আ
মন্তব্য করুন: